ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে লিটন-মুশফিকের জুটিতে আশা খুঁজে পেয়েছিল বাংলাদেশ। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে দুজন মিলে প্রতিরোধ গড়ে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন টিকে থাকার।
কিন্তু দিনের দ্বিতীয় সেশনে সাজিদ খানকে পুল করতে গিয়ে শর্ট লেগে ফাওয়াদ আলমের হাতে লিটনের বন্দি হওয়ায় ভাঙে সেই স্বপ্ন। ৮১ বলে ৪৫ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় লিটনকে। আর তাতে দলীয় রান ১০০ ছোঁয়ার আগে ৫ উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে উইকেটে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১০২ রান। ইনিংস পরাজয় এড়াতে আরও ১১১ রান করতে হবে টাইগারদের।
এর আগে পাকিস্তানের করা প্রথম ইনিংসে ৩০০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৭৬ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। পঞ্চম দিনের শুরুতে দলীয় স্কোরবোর্ডে ১১ রান যোগ করতে সমাপ্তি ঘটে টাইগারদের ইনিংসের।
২১৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে আরও একবার ব্যাটিং বিপর্যয় সঙ্গী হয় স্বাগতিকদের। পাকিস্তানের পেইস তোপের সামনে একে একে অসহায় আত্মসমর্পণ করে ফিরে যেতে হয় মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক ও নাজমুল হাসান শান্তকে।
২৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন বিপর্যস্ত, ঠিক সে সময় ত্রাতা হয়ে আসেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। দেখেশুনে ব্যাটিং করে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে।
দুজনের অবিচ্ছেদ্য ৭৩ রানের জুটিতে কিছুটা থিতু হয় স্বাগতিক দল।