বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটের অষ্টম আসর মাঠে গড়াবে ২০ জানুয়ারি। টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শুরু করেছে আনুষ্ঠানিকতা।
বিপিএলে অংশ নিতে আগ্রহী ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দরপত্র জমা দেয়ার সময় শেষ হয়েছে পাঁচ ডিসেম্বর। গত আসরগুলোতে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছ থেকে বেশ সাড়া পেলেও এবারের আসরকে নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সংবাদ মাধ্যমকে সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।বিপিএলে এবার অংশ নেয়ার কথা রয়েছে ছয় দলের। এই ছয় দলের জন্য দরপত্র জমা দিয়েছে আটটি প্রতিষ্ঠান। এই আটটির ভেতর যাচাই বাছাই করে ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি বেছে নেয়া হবে। তিনি বলেন, ‘এবারের আসরে আটটা ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহ দেখিয়েছে। এখন আমরা দেখব তাদের সম্পর্কে জানব। এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’
জোর গুঞ্জন রয়েছে যে টুর্নামেন্টে অংশ নেবে না বেক্সিমকো ও বসুন্ধরা গ্রুপ। তেমন সম্ভাবনা যে রয়েছে সেটির ইঙ্গিত মিলল বিসিবি বসের কথায়। সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিতে অনীহা এই দুই প্রতিষ্ঠানের। বসুন্ধরার পরিচালনায় আছে রংপুর রাইডার্স আর বেক্সিমকো পরিচালনা করে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসকে।
পাপন বলেন, ‘বলা মুশকিল যে বেক্সিমকো থাকবে কি না। আমি এখনও জানি না। ছোট সংস্করণ তো! এক বছর, এক বছর করে অনেকে আগ্রহী না। অনেকে দীর্ঘ সময়ের জন্য আগ্রহী। তাহলে ওরা একটা পরিকল্পনা করে নামতে পারে। আমি জানি না, বসুন্ধরাও আগ্রহী কি না।’
প্রায় প্রতি আসরে দেখা যায় বিপিএলে অংশ নেয়া বিদেশি খেলোয়ারদের সঙ্গে পারিশ্রমিকের বিস্তর ফারাক থাকে স্থানীয় ক্রিকেটারদের। তবে এবারের আসরে সেই ফারাকটা কমিয়ে আনার কথা জানালেন বিসিবি সভাপতি।
পাপন বলেন, ‘প্রথমে বিপিএল নিয়ে কথা বলার সময় বলেছি যে বিদেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমাদের খেলোয়াড়দের বিশেষ করে ড্রাফটে যারা আছে তাদের পার্থক্য যেন খুব বেশি না হয়। আমাদের ক্রিকেটাররা যেন তাদের প্রাপ্যটাই পায়।’
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছর মাঠে গড়ায়নি বিপিএল। বিপিএলের মত করে শুধুমাত্র দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ নামে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল বিসিবি।