বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মরক্কোর এসাইদের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু রিয়াসাতের

  •    
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:০২

মূলত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পরিচয়। এরপর বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের এই সম্পর্ক এক বছরের মধ্যে রূপ নেয় নতুন জীবনে। রিয়াসাতের নতুন জীবনের সঙ্গীর নাম মারোয়া এসাইদ। মরোক্কোর এই অধিবাসী এখন আইন বিষয়ে পড়াশুনা করছেন।

নতুন জীবন শুরু করলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলার রিয়াসাত ইসলাম খাতন। ২৭ নভেম্বর বিয়ে করেছেন জার্মানিতে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের এ প্রবাসী ফুটবলার।

তার নতুন জীবনের সঙ্গীর নাম মারোয়া এসাইদ। মরোক্কোর বাসিন্দা এসাইদ আইন বিষয়ে পড়াশুনা করছেন। পাশাপাশি ইউটিউবে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করেন।

মূলত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পরিচয়। এরপর বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের এই সম্পর্ক এক বছরের মধ্যে রূপ নেয় নতুন জীবনে।

মরোক্কোয় গত মাসের শেষ সপ্তাহে আরবীয় ঢঙে বিয়ের করেন এই জুটি। বিয়ের অনুষ্ঠানে বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায় রিয়াসাত ও তার সহধর্মিনীকে। উত্তর আফ্রিকার ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ দেশ মরোক্কোয় আরব দেশের রীতি-নীতি মেনে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

পছন্দের বন্ধুকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পেয়ে আনন্দিত রিয়াসাত বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। এক বছর ধরে আমরা বন্ধু ছিলাম। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পরিচয়। এরপরে দেখা করা। জার্মানি থেকে মরোক্কোয় যেতাম। ঘুরতাম। এরপর ধীরে ধীরে সম্পর্ক গড়ে। পরে দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নিই বিয়ে করার। বাসায় জানাই। এরপর অনুষ্ঠানের কার্যক্রম হয়।’

একেবারে নাটকীয় ভাবে তাকে অবাক করে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন রিয়াসাত। সেই ঘটনা খুলে বলেন, ‘মরোক্কোর একটি শহরে সারপ্রাইজ অনুষ্ঠান করি। এসাইদ ছাড়া বাকি সবাই জানতো যে প্রপোজ করব। পরে সবার সামনে আংটি দিয়ে প্রস্তাব দিই।’

বউকে নিয়ে বাংলাদেশে ঘুরে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে এ প্রবাসী ফুটবলারের। মাতৃভূমিকে পরিচয় করিয়ে দিতে চান।

দেশের ফুটবল সমর্থকদের কাছে নতুন জীবনের জন্য দোয়া চাইলেন রিয়াসাত ও মারোয়া জুটি। বাংলায় তারা বলেন, ‘আশা করছি সবাই ভালো আছে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। ধন্যবাদ।’

জার্মানিতে বড় হওয়া রিয়াসাত ২০১৩ সালে প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পান। ক্যাম্পে অনুশীলন করলেও মূল স্কোয়াডে সুযোগ হয়নি। পরে ২০১৫ সালে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে খেলার জন্য ডাক পান। শেষ পর্যন্ত খেলা হয়নি তার।

এখন ইনজুরির পুনর্বাসনে আছেন। আরও বছর দুয়েক খেলতে চান তিনি। ফুটবল ক্যারিয়ার শেষে কোচিং করানোর আগ্রহ রয়েছে এ প্রবাসী ফুটবলারের।

এ বিভাগের আরো খবর