টিকা সংক্রান্ত বিষয়ে নোভাক জকোভিচকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আয়োজকরা ব্ল্যাকমেইল করেছেন বলে অভিযোগ এসেছে সার্বিয়ান সংবাদ মাধ্যমে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
৩৪ বছর বয়সী জকোভিচ আগামী জানুয়ারিতে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামে রেকর্ড ২১তম স্ল্যাম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে কোর্টে নামবেন।
করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মাথায় রেখে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টিকা ছাড়া কোনো খেলোয়াড় এবারের আসরে অংশ নিতে পারবে না। আর এতেই বিপাকে পড়েছেন জকোভিচ।
কারণ প্রথম থেকেই তিনি টিকা না নেয়ার পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছেন।
এ কারণে তার বাবা সারিয়ান জকোভিচ সার্বিয়ান টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘হলে তার ছেলে হয়তো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নাও খেলতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে তার ছেলেকে হয়তো বা ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে।’
এক সিনিয়র কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার কথা ভেবেই টিকা নেয়ার বিষয়টি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
ভিক্টোরিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী মার্টিন পাকুলা বলেন, ‘নয়বারের চ্যাম্পিয়ন জকোভিচকে দেখার জন্য অস্ট্রেলিয়ানরা সবসময়ই মুখিয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।‘অন্যান্য সব মানুষের জন্য ভিক্টোরিয়া সরকারের কোভিড যে আইন রয়েছে, তা খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এখানে ব্ল্যাকমেইলের প্রশ্নই আসে না। এর অর্থ হচ্ছে ভিক্টোরিয়ার মানুষের নিরাপদে থাকা।’
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রধান ক্রেইগ টিল গত মাসে জানিয়েছিলেন, বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া সব খেলোয়াড়কে টিকা নিতে হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলোয়াড়দের বাধ্যতামূলক দুই সপ্তাহের জন্য হোটেল কোয়ারেন্টিন করতে হয়েছিল, কিন্তু এবার সে ধরনের কোনো বাধ্যবাধকতা থাকছে না। তবে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ভয়াবহতার ওপর পুরো পরিস্থিতি নির্ভর করছে।
আগামী বছর ১৭ জানুয়ারি থেকে মেলবোর্নে বছরের প্রথম এই গ্র্যান্ড স্ল্যাম শুরু হওয়ার কথা।