ব্যালন ড'র জেতার পর ক্যারিয়ারের প্রথমবার প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) জার্সিতে মাঠে প্রদর্শন করলেন লিওনেল মেসি। এর আগে প্রতিবার বার্সেলোনার জার্সিতে ব্যালন প্রদর্শন করেছেন এ আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। তবে এমন খুশির দিনটা রাঙানো হয়নি মেসিদের। ঘরের মাঠে নিসের সঙ্গে হোঁচট খেয়েছে পিএসজি।
নিসের জালের দেখা পাওয়া সম্ভব হয়নি ফরাসি জায়ান্টদের। গোলশূন্য ড্রয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছেড়েছে দুই দল।
পয়েন্ট টেবিলের চারে থাকা নিসের বিপক্ষে বল দখলের লড়াইয়ে বেশ এগিয়ে ছিল পিএসজি। ৭০ শতাংশ বল পায়ে রেখে নিসের গোলবারে ২২টি শট নিয়েছেন মেসি-এমবাপেরা।
চোটের কারণে দুই মাস মাঠের বাইরে ছিটকে যাওয়া নেইমার নেই ম্যাচে। নেইমার ও চোট সেরে মাঠে ফেরা রামোসকে ছাড়া আনহেল দি মারিয়াকে নিয়ে আক্রমণ ভাগ সাজান মাউরিও পচেত্তিনো।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ সাজিয়ে গেছে পিএসজি। ২৭তম মিনিটে মেসির পাস থেকে এমবাপের নেয়া ডান পায়ের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন নিস গোলকিপার বেনিতেস।
আগের ম্যাচে দলের তিন গোলে অ্যাসিস্ট করে অবদান রাখা মেসি এ ম্যাচেও নিসের রক্ষণ ব্যস্ত রাখেন। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে তার নেয়া শট ঠেকিয়ে দেন মেসির স্বদেশি গোলকিপার ওয়ালটার বেনিতেস।
দ্বিতীয়ার্ধেও চাপ অব্যাহত রাখে পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ৬ মিনিটে ভালো দুটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি দলটি। এমবাপের পাসে মারিয়ার শট পা বাড়িয়ে রুখে দেন বেনিতেস। মেসির পাস ধরে নুনো মেন্দেসের শটও ঠেকিয়ে দেন এ আর্জেন্টাইন গোলকিপার।
শেষে নিসের রক্ষণের ভুলে বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে মেসির নেয়া শট বাইরে চলে গেলে হতাশ হয় পিএসজি।
পুরো ম্যাচে বেনিতেসকে ফাঁকি দেয়া সম্ভব হয়নি পচেত্তিনোর শিষ্যদের। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
পয়েন্ট খোয়ালেও টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে পিএসজি। ১৬ ম্যাচে ১৩ জয় ও দুই ড্রয়ে পিএসজির পয়েন্ট ৪১। এক ম্যাচ কম খেলা মার্সেই ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে। ১৬ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে রেন তৃতীয় স্থানে এবং ২৭ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে নিস।