দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট করছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। চার উইকেট হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতির পর লিটন মুশফিকের ব্যাটে দলীয় সংগ্রহ ১০০ পেরিয়েছে স্বাগতিকরা।
সাগরিকায় টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ঘণ্টাতে স্বাগতিক দল হারায় দুই ওপেনারকে। বাজে শটে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্তও। আর বিরতির আগে বাংলাদেশ হারিয়েছে অভিজ্ঞ মুমিনুল হককে।
প্রাণবন্ত উইকেটে পাকিস্তানের শুরুর দিককার পেইস আক্রমণ সামলাতে পারেনি বাংলাদেশ। ভুল শট সিলেকশনের খেসারত দিতে হয়েছে সবাইকে।
ইনিংসের প্রথম ওভারে একবার জীবন পান সাদমান ইসলাম। ব্যাটের কানায় বল লেগে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়ার পর পাকিস্তান দলের কেউ আবেদন না করায় সে যাত্রা রক্ষা পান তিনি।
অন্যপ্রান্তে শাহিন আফ্রিদির শর্ট বলের সামনে নড়বড়ে হয়ে পড়েন সাইফ হাসান। পঞ্চম ওভারে তার বলেই আউট হন সাইফ।
টেস্ট ম্যাচের মেজাজে খেলেননি তিনি। ১১৬ স্ট্রাইক নিয়ে ১২ বলে ১৪ রান করেন।
সাইফের ওপেনিং পার্টনার সাদমানের ব্যাট থেকেও আসে ১৪ রান। অষ্টম ওভারে হাসান আলির বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন তিনি।
বাংলাদেশ বড় ধাক্কাটা খায় ১৬তম ওভারে। সাজিদ খানের বলে ৬ রান করে আউট হন মুমিনুল হক।
অধিনায়কের পতনের পরও শট খেলা কমাননি নাজমুল শান্ত। যার খেসারত দেন ১৭তম ওভারে। ফাহিম আশরাফের প্রথম বলে কাট করতে গিয়ে কাভার পয়েটে ধরা পড়েন তিনি। শান্তর ব্যাট থেকেও আসে ১৪।
এরপর উইকেট আগলে রেখে বিপর্যয় সামাল দিতে চেষ্টা করছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। বিরতিতে যাওয়ার আগে মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৫ রান ও লিটন ছিলেন ১১ রানে।
বিরতি থেকে ফিরে দেখেশুনে দলকে শতরান পার করান লিটন ও মুশফিক। পঞ্চম উইকেটে ৫০ রানের জুটি পূর্ণ করেছেন তারা।
মুশফিক অপরাজিত রয়েছেন ২০ রানে আর লিটন করেছেন ২৯ রান।
পাকিস্তানের হয়ে বল করেছেন পাঁচজন বোলার। উইকেট শিকার করেছেন চারজন। প্রথম সেশনে সেরা বোলার ছিলেন শাহিন আফ্রিদি।