প্রায় নয় মাস পর চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে শুক্রবার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। আর এই টেস্ট দিয়ে দীর্ঘ বিরতির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে সাগরিকায়।
করোনা বিরতি কাটিয়ে ২০ মাস পর পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দর্শকদের দেয়া হয়েছিল প্রবেশের অনুমতি। বাকি ছিল সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দর্শক ফেরানোর। প্রথম টেস্ট দিয়ে সেটিও করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
লম্বা সময় পর সাগরিকায় খেলা। ফিরছে দর্শক। সব থাকলেও চট্টলাবাসীর মনে একটাই আক্ষেপ। দলে নেই ঘরের ছেলে তামিম ইকবাল খান। আঙুলের ইনজুরির জন্য পাকিস্তান সিরিজের পাশপাশি নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকেও ছিটকে গেছেন দেশসেরা এই ওপেনার।
তাই স্থানীয় ভক্তদের ভেতর হাহাকার। সব থেকেও যেন প্রিয় কিছু নেই চট্টগ্রামের ক্রিকেট ফ্যানদের।
আন্দরকিল্লা থেকে টিকিট কিনতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাকসুদ টিকিট পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তামিমের অনুপস্থিতি পোড়াচ্ছে তাকে।
তিনি বলেন, ‘একদিকে ভালো লাগছে সাগরিকায় ক্রিকেট ফিরেছে। আবার তামিমের কথা মনে পড়লে সেটা চাপা পড়ে যাচ্ছে। দুঃখ একটাই, তামিম নাই। তামিম ভাই থাকলে আমরা আরও ভালো কিছু অবশ্যই করতে পারতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘টেস্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলায় তামিমের থাকাটা অনেক দরকার ছিল। কিন্তু তার কপাল খারাপ। কী আর করা!’
কর্মসূত্রে লম্বা সময় ধরে চট্টগ্রামে থাকেন ওয়াহিদুর রহমান বাবলু। ক্রিকেটকে মন থেকে ভালোবাসেন বলে সকাল সকাল চলে এসেছেন টিকিট কিনতে।
তিনি বলেন, ‘কেউ মানুক আর নাই মানুক, তামিমের না থাকায় বাংলাদেশের ক্রিকেট ভুগছে। একটা হার্ডহিটার ওপেনার নাই দলে। একটা ভরসাবান ব্যাটসম্যান নাই। ওপেনিং করতে মাঠে আসে। দাঁড়ায়, দুইটা বল ঠেকায় আবার চলে যায়। এভাবে হয় নাকি?’
পাশাপাশি বোর্ডের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ইনজুরিতে পড়তে পারেন কোনো ক্রিকেটার। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার বিকল্প এতোদিনেও বানাতে পারল না বোর্ড। তাদের আবার দাবি পাইপলাইন অনেক শক্ত। এই যদি হয় শক্তের নমুনা, তাহলে ভাই বলার কিছু নাই!’
তামিম যেন দ্রুত বাংলাদেশের লাইনআপে ফিরে আসেন এই কামনা সব ভক্তের। তাদেরই একজন হালিশহর থেকে আসা শফিক বলেন, ‘তামিম ভাই নেই, এটা খুবই দুঃখজনক। তাকে খুব মিস করব। দোয়া করি সুস্থ্য হয়ে তিনি দ্রুত ফিরে আসুন।’