পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটিং বিপর্যয় পিছু ছাড়েনি বাংলাদেশের। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গী হয় মিস ফিল্ডিং। যার খেসারত হিসেবে আরও একটি হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
পাকিস্তানের ইনিংসের ১১.১ ওভারে আমিনুলের বলে সাইফের হাতে জীবন পান ফখর জামান। জীবন পেয়ে ৫১ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকার পাশাপাশি আট উইকেটের বড় জয় এনে দেন দলকে।
বিশ্বকাপে ক্যাচ মিসের খেসারতটা হেরে দিতে হয় বাংলাদেশকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেও ব্যতিক্রম হয়নি তার। যেই ক্যাচ মিসের জন্য চাকুরিচ্যুত করা হয়েছিল ফিল্ডিং কোচকে, নবনিযুক্ত কোচ দায়িত্ব নেয়ার পরও দেখা যাচ্ছে না পরিবর্তনের কোনো ছিটেফোঁটা।
ক্যাচ মিসকে দুর্ভাগ্য বলে দায়টা এড়ালেন টি-টোয়েন্টি দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। অনুশীলনে ক্যাচের ওপর জোর দেয়া হলেও ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ক্যাচ হাত ফসকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি।
রিয়াদ বলেন, ‘অনুশীলনে ছেলেরা ক্যাচ ধরার ক্ষেত্রে প্রচুর প্রচেষ্টা দেখাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা সুযোগগুলো মিস করছি।’
দ্রুত দুই উইকেট পতনের পর শান্ত-আফিফের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই জুটি ভাঙ্গার পর শেষদিকে দলকে বেশিদূর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান।
আর এই কারণেই দীর্ঘদিন পর হলেও অধিনায়ক অভাব বোধ করছেন একজন সেট ব্যাটসম্যানের।
রিয়াদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা আজ বেশ ভালো শুরু করেছিলাম। আফিফ ও শান্ত সত্যি মাঝে দারুণ ব্যাটিং করেছে। আমি ও শান্ত একটা জুটি গড়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু সেটা হয়নি শেষের ওভারগুলোতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের মতো দলের জন্য একজন সেট ব্যাটার প্রয়োজন যে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে। কিন্তু সেটা আজ হয়নি।’
বোলিং ইউনিট ভালো করলেও দলপতির হতাশা কাটছে না ব্যাটিং ইউনিট নিয়ে। আর সে কারনেই ব্যাটিং বিভাগের সেরাটা পেতে মরিয়া রিয়াদ।
রিয়াদ বলেন, ‘আমি মনে করি গত ৫-৬ মাসে আমাদের বোলিং দুর্দান্ত হচ্ছে, পেস ও স্পিন দুই বিভাগে। এখন ব্যাটিং বিভাগের সেরাটা দিতে হবে।’