সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের দেয়া ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় বাবর আজমের দল।
সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধস নামে পাকিস্তান শিবিরে। ১১ বলে ১১ রানের ইনিংস খেলে ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান মাঠ ছাড়ার পর দুই অঙ্কের রান ছোঁয়ার আগে পরপর ফেরেন বাবর আজম, হায়দার আলি ও শোয়েব মালিক।
ফলে স্কোর বোর্ডে ২৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
দলের বিপর্যয়ে ইনিংস মেরামতের গুরুভার তুলে নেন ফখর জামান ও খুশদিল শাহ। দুজনের ৫৬ রানের জুটিতে লড়াইয়ে ফেরে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। জামানকে ৩৪ রানে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু দেন দলকে।
উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন খুশদিল। দলকে জয়ের সুবাস পাইয়ে দিতে থাকা এ ব্যাটসম্যানকে ফিরতে হয় উইকেটের পেছনে সোহানের গ্লাভসে বন্দি হয়ে।শরিফুলের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান।
শেষ দিকে শাদাব খান ও মোহাম্মদ নাওয়াজের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটের দারুণ জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করে পাকিস্তান।
শাদাব ২১ ও নাওয়াজ ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের হয়ে ২টি উইকেট পান তাসকিন আহমেদ। ১টি করে উইকেট পান মুস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম ও মাহেদী হাসান।
এর আগে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ১৫ রানে ফেরেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ, সাইফ হাসান ও টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হাসান শান্ত।
বিশ্বকাপের মতো এই ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে বাজে খেলে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ছিল উইকেট বিলিয়ে আসার মিছিল।
দ্রুত উইকেট পতনের পর পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন আফিফ হোসেন। সঙ্গে ছিলেন দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদ ফিরে যান দুই অঙ্কের রান ছোঁয়ার আগে।
৩৪ বলে ৩৬ করে বিদায় নেন আফিফও। আর তার বিদায়ে শঙ্কা দেখা দেয় শতকের নিচে গুটিয়ে যাওয়ার।
কিন্তু ত্রাতা হয়ে আসেন নুরুল হাসান সোহান। মাহেদীকে সঙ্গে নিয়ে দলের ইনিংস বড় করতে থাকেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। বড় শট খেলে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে।
২২ বলে ২৮ রানে সোহানের বিদায়ে ফের ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। মাহেদী সেখান থেকে দলের রান বাড়িয়ে নেন।
শেষদিকে ঝড় তোলেন তাসকিন আহমেদ। মাহেদীর অপরাজিত ২০ বলে ৩০ ও তাসকিনের শেষ বলে ছক্কায় ১২৭ রানের পুঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের পক্ষে ৩ উইকেট নেন হাসান আলি। ২টি উইকেট যায় মোহাম্মদ ওয়াসিমের ঝুলিতে। আর ১টি করে উইকেট নেন শাদাব খান ও মোহাম্মদ নেওয়াজ।
২২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন হাসান আলি।