আধুনিক ক্রিকেটকে নিউজিল্যান্ড দিয়েছে অনেক কিছুই। মার্টিন ক্রো, ক্রিস কেয়ার্নস, ড্যানিয়েল ভেটোরি ও শেইন বন্ডের মতো তারকা থেকে শুরু করে হালের কেইন উইলিয়ামসন, ট্রেন্ট বোল্টরা নিজেদের সময় বিশ্বের অন্যতম সেরা।
পরিকল্পিত ও গোছানো ক্রিকেট খেলায় জুটি নেই নিউজিল্যান্ডের। বিশ্বের সব প্রান্তে সমান ভাবে সফল ও জনপ্রিয় ব্ল্যাকক্যাপদের বৈশ্বিক আসরে সাফল্য হাতেগোনা। টেস্ট ক্রিকেটে এ বছর চ্যাম্পিয়নশিপ জিতলেও, সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটগুলোয় তাদের সবশেষ সাফল্য ২০০০ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
এরপর তারা চেষ্টা করেছে বহুবার। কিন্তু লাভ হয়নি! এবারও হলো না।
২০০৯ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে হার দিয়ে শুরু। সেবার তারা হারে অস্ট্রেলিয়ার কাছে।
২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে তারা শিরোপা হারায় অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের কাছে হেরে। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপাও খোয়াতে হলো প্রতিবেশি অজিদের কাছে।
আরও একবার বিশ্ব আসর থেকে ভাঙ্গা মন নিয়ে ফিরল নিউজিল্যান্ড। ছয়টি আইসিসি বিশ্ব আসরের চারটিতে হেরেছে ব্ল্যাকক্যাপস।
দুবাইয়ের ফাইনালে কেইন উইলিয়ামসনের অসাধারণ ইনিংসের পর ১৭২ রানের পুঁজি পায় ব্ল্যাক ক্যাপস। বোদ্ধাদের চোখে ফাইনালে যা ছিল যথেষ্ট স্কোর।
কিন্তু নিউজিল্যান্ড বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করে একরকম বলে-কয়ে বিশ্বকাপ ট্রফি জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া।
আরও একটি আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রতিপক্ষের উৎসব দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হল নিউজিল্যান্ডকে।
অথচ দারুণ একটা টুর্নামেন্ট কাটিয়েছে উইলিয়ামসনের দল। সুপার টুয়েলভে পাকিস্তানের কাছে হার দিয়ে শুরু করলেও ভারত, আফগানিস্তান, নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ডকে পাত্তা না দিয়ে সেমিফাইনালে উঠে আসে ব্ল্যাকক্যাপস।
শেষ চারে তারা হারায় টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা দল ইংল্যান্ডকে। ফাইনালে উইলিয়ামসনের ৪৮ বলে ৮৫ রানের ইনিংসের পর শিরোপায় তাদের নাম দেখছিলেন অনেকেই।কিন্তু দুর্দান্ত অজিরা তেমনটা হতে দেয়নি।