বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের সেরা তিন লড়াই

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৪ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:১৭

অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ মানেই উত্তেজনা, বিতর্ক আর তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। দুই দলের অতীতই তার সাক্ষ্য। রেকর্ড বলছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি আরও বেশি আকর্ষণীয় হতে যাচ্ছে।

সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপার লড়াইয়ে রোববার লড়বে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। এর আগে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে অনেক ম্যাচে লড়েছে তারা।

দুই দলের খেলা মানেই উত্তেজনা, বিতর্ক আর তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। অতীতই তার সাক্ষ্য। রেকর্ড বলছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি আরও বেশি আকর্ষণীয় হতে যাচ্ছে।

বিশ্বকাপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামার আগে দুই দলের সেরা তিন ম্যাচের দিকে নজর দেয়া যাক।

১৯৭৪, ক্রাইস্টচার্চ

অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারায় নিউজিল্যান্ড।

প্রায় ৩০ বছর ধরে নিউজিল্যান্ডকে উপেক্ষা করছিল অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের যোগ্য প্রতিপক্ষ হিসেবে ব্ল্যাকক্যাপস বিবেচনা করেনি অজিরা। তারপরও ১৯৭৪ সালে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে যায় অস্ট্রেলিয়া।

সফরে ওয়েলিংটনে প্রথম টেস্টটি ড্র হয়। পরের টেস্টে চমক দেখায় নিউজিল্যান্ড।

দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেন ওপেনার গ্লেন টার্নার। প্রথম ইনিংসে ১০১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১১০ রান করেন তিনি। এতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিউজিল্যান্ড। টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেটিই ছিল নিউজিল্যান্ডের প্রথম জয়।

১৯৮১, মেলবোর্ন

নিউজিল্যান্ডকে ৬ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলে নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় ম্যাচটি দারুণ জমে উঠেছিল। সেটিকে এখনও ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম বির্তকিত ম্যাচ ধরা হয়।

টাই করতে শেষ বলে ছক্কার দরকার ছিল নিউজিল্যান্ডের। বোলিং আক্রমণে থাকা অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক গ্রেগ চ্যাপেলকে তার ছোট ভাইকে আন্ডারআর্ম বল করার নির্দেশ দেন। অধিনায়কের পরামর্শমতো বলও করেন ট্রেভর।

এতে বল গড়িয়ে গড়িয়ে যায় ব্যাটারের কাছে। ব্যাট হাতে স্ট্রাইকে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের টেল-এন্ডার ব্যাটার ব্রায়ান ম্যাকেকনি। বল আন্ডারআর্ম করায় রেগে ব্যাট ছুঁড়ে মারেন ম্যাকেকনি। পরে চ্যাপেলের ওই সিদ্ধান্ত ক্রিকেট জগতে সমালোচনার ঝড় তোলে।

নিউজিল্যান্ডের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রবার্ট মালডুন বলেছিলেন, ‘ডেলিভারিটি ছিল সত্যিকারের কাপুরুষতার কাজ।’

২০১৫, অকল্যান্ড

অস্ট্রেলিয়াকে ১ উইকেটে হারায় নিউজিল্যান্ড।

২০১৫ সালে ইডেন পার্কে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি ছিল ইতিহাসের সেরা ম্যাচগুলোর একটি। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া।

নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্টের তোপে ৩২ দশমিক ২ ওভারে ১৫১ রানে অলআউট হয় অজিরা। ১০ ওভারে ২৭ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি।জবাবে অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ঝড়ো ব্যাটিং নিউজিল্যান্ডকে সহজ জয়ের পথেই রেখেছিল। কিন্তু ম্যাককালামের আউটের পর অস্ট্রেলিয়ার পেইসার মিচেল স্টার্কের বোলিং তোপে মহাবিপদে পড়ে নিউজিল্যান্ড।

তারপরও এক প্রান্ত আগলে দলকে ১ উইকেটের জয় এনে দেন বর্তমান অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। ৪২ বলে ৪৫ রান করেন তিনি। ২৪ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ রান করেন ম্যাককালাম।

এ বিভাগের আরো খবর