বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফাইনালে সাবেকদের ফেভারিট অস্ট্রেলিয়া

  •    
  • ১৪ নভেম্বর, ২০২১ ১২:৩২

ফাইনালটা একদিক দিয়ে নিউজিল্যান্ডের প্রতিশোধেরও ম্যাচ। ২০১৫ সালে এই কিউইদের কাঁদিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।

অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এরপরই শুরু হবে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বসেরা হওয়ার অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের লড়াই।

বিশ্বকাপের শুরুর দিকে যাদের শিরোপার জোরালো দাবিদার মনে করা হয়েছিল, তারা সেমিফাইনাল কিংবা সুপার টুয়েলভেই বাদ পড়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে তাসমান পারের দুই দেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মরুর বুকে বিশ্বকাপের মঞ্চের ফাইনালে নেই এশিয়ার কোনো দেশ। তাতে এই অঞ্চলে ক্রিকেটামোদিদের মধ্যে বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে আমেজ কমলেও আগ্রহ কমেনি।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ফাইনাল।

শিরোপার দৌড়ে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের কেউই এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপার দেখা পায়নি। অস্ট্রেলিয়ার রয়েছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ, নিউজিল্যান্ডের তাও নেই।

ফাইনালটা একদিক দিয়ে নিউজিল্যান্ডের প্রতিশোধেরও ম্যাচ। ২০১৫ সালে এই কিউইদের কাঁদিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।

শক্তিমত্তার দিক থেকেও ব্ল্যাক ক্যাপসের চেয়ে ঢের এগিয়ে অজিরা। তবে নিউজিল্যান্ড তাদের স্কিলড ক্রিকেট দিয়ে যেকোনো সময় তাক লাগিয়ে দিতে পারে যে কাউকে। তাই তাদেরও ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।

তাহলে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপার স্বাদ পাচ্ছে কারা? অস্ট্রেলিয়া নাকি নিউজিল্যান্ড? বিষয়টি নিয়ে নিউজবাংলাকে নিজেদের বিশ্লেষণ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক দুই ক্রিকেটার রকিবুল হাসান ও জাভেদ ওমর বেলিম।

শিরোপার লড়াইয়ে দুই দলই যেকোনো সময় পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে। তবে শক্তি ও পারফরম্যান্সের দিক বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে রেখেছেন রকিবুল হাসান।

তিনি বলেন, ‘এখানে ওইভাবে ফেভারিট তো কেউ নাই। তবে নিউজিল্যান্ড একটু ধাক্কা খেয়ে গেছে, তাদের প্রধান একজন ব্যাটসম্যান ডেভন কনওয়ে খেলতে পারতেছে না। কনওয়ে না থাকায় তাদের শক্তিমত্তাকে কিছুটা দুর্বল করে দেবে।’

বিশ্বকাপের আগে লম্বা সময় ধরে ফর্মহীনতায় ভুগছিলেন অজি ব্যাটাররা। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে তো বাদই পড়তে হয়েছিল আইপিএল থেকে বাজে ফর্মের জন্য।

অথচ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বিশ্বকাপে এসে বদলে গেছে দৃশ্যপট। ফর্মে ফিরেছেন ওয়ার্নাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পরিচয়ও দিয়েছিলেন এই ওপেনার।

এই দিকগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া গত দুই ম্যাচে খুব দাপটের সঙ্গে খেলেছে। তাদের কিছু প্লেয়ার যারা ফর্মে ছিল না (যেমন ওয়ার্নার) তারা কিন্তু রানে ফিরে এসেছে। তাদের বোলিং সব সময় ভালো ছিল। তাদের প্রাথমিক যে দৈন্য ছিল সেটাও মোটামুটি শেষ দুই ম্যাচে কাটিয়ে উঠেছে।

‘দুই দলের মধ্যে ভালো সুযোগ কাজ করে। তাসমান সাগরের দুই দিকে দুই দেশ সেটা ক্রিকেট হোক, রাগবি হোক, যেই খেলাই হোক না কেন, চাপটা কাজ করবে। যদিও এরা চাপ হজম করার ক্ষমতা রাখে। তার পরও যেহেতু ফাইনাল, শিরোপার হাতছানি। সব মিলিয়ে যে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবে, দিনটা তারই। তবে আমি অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে রাখব। চাপ দুই দলের ওপরই থাকবে। ফাইনালে কেউ প্রথম কিংবা পঞ্চমই হোক না কেন, এক্সাইটমেন্ট থাকবেই।’

নিউজিল্যান্ডের সমর্থক হলেও ব্যাটিং ও বোলিং ইউনিটের শক্তির বিচারে অস্ট্রেলিয়াকে কিছুটা এগিয়ে রাখছেন জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিম।

তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি এমন ফরম্যাট, যে কেউই ঘুরিয়ে দিতে পারে। এক ওভারে খেলা বদলে যেতে পারে। বেশি পরিকল্পনা করা যায় না। এখানে ১২০ বলের খেলা, একটু স্লিপ করলে ফিরে আসা কঠিন হয়ে যায়। আমি নিউজিল্যান্ডকে সমর্থন করলেও এগিয়ে রাখব অস্ট্রেলিয়াকে। কারণ ওদের প্লেয়াররা পাওয়ার ক্রিকেট খেলে। ওয়ার্নারও ফর্মে আছে। নিউজিল্যান্ড হয়তো গোছালো খেলে, বোলিং লাইন ভালো, অস্ট্রেলিয়ারও ভালো। তার পরও মানসিক দিক থেকে অস্ট্রেলিয়া ৭ ভাগ হলেও এগিয়ে থাকবে।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগের ছয় আসরে কোনোবারই শিরোপার স্বাদ নিতে পারেনি সাবেক দুই ফাইনালিস্ট। তাই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলতে মরিয়া নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া।

এ বিভাগের আরো খবর