বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে জাতীয় দলের বাকি ক্রিকেটাররা ফিরে এলেও ছুটি কাটাতে আরব আমিরাতে থেকে গিয়েছিলেন জাতীয় দলের চার ক্রিকেটার। এরা হলেন টি-টোয়েন্টি দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস ও তাসকিন আহমেদ।
ছুটি কাটিয়ে ইতোমধ্যে তাসকিন ফিরে এলেও ফেরা হয়নি বাকি তিন জনের। অবশেষে শনিবার রাতে দেশে ফিরলেন বাকি তিন ক্রিকেটার। বাংলাদেশ সময় রাত ১১ টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা থাকলেও দুই ঘন্টা বিলম্বে রাত ১ টার কিছু পরে অবতরণ করে মুশফিকদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নম্বর ইকে ৫৮৪ বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি।
দুবাই থেকে মুশফিক-রিয়াদদের রওনা দেয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটে। কিন্তু ফ্লাইট বিলম্ব হওয়ায় সেটি রওয়ানা দেয় রাত ৯টা ১৬ মিনিটে।
এর আগে সুপার টুয়েলভের পাঁচটি ম্যাচ হেরে যাওয়ায় সেমির স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে গত ৫ নভেম্বর দুই দফায় দেশে ফিরেছিলেন জাতীয় দলের ৯ ক্রিকেটার।
এরপর এক প্রকারে চুপেসারেই দেশে ফিরে এসেছিলেন তাসকিন আহমেদ।
আর গত ১২ নভেম্বর ছুটি কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন জাতীয় দলের কোচিং স্টাফরা। বিশ্বকাপের পর তারা ছুটি কাটাতে ফিরে গিয়েছিলেন নিজ দেশে।
এদিকে ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার পর সাকিব আল হাসান থাকছেন না পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। তিন সপ্তাহের জন্য তাকে থাকতে হচ্ছে মাঠের বাইরে।
যে কারণে আপাতত এখনই দেশে আসছেন না এই অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাবার পরদিনই সাকিব চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সাকিবকে না পাওয়া গেলেও আশা করা যাচ্ছে টেস্ট সিরিজে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি।
সেই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবালকে নিয়েও। এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগে খেলার সময় বাঁ হাতের বুড়ো আঙ্গুলে চোট পেয়েছিলেন তিনি।
সেই চোট এখনও পুরোপুরি না সারায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে সাকিবের মতো তামিমকেও টেস্টে দেখতে আশাবাদী জাতীয় ক্রিকেট দলের ফিজও ও টিম ম্যানেজমেন্ট।
১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ও দুই টেস্ট ম্যাচের সিরিজটি।