ইনজুরি সেরে ফিরলেও সতর্কতাবশত লিওনেল মেসি ছিলেন না একাদশে। ফলে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে উরুগুয়ের বিপক্ষে কিছুটা ধুঁকতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে।
তারপরও ১-০ গোলের স্বস্তির জয় বাগিয়ে নিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে এক পা দিয়ে রেখেছে লিওনেল স্কালোনির দল।
ঘরের মাঠে শুরু থেকেই ছন্দহীন ছিল উরুগুয়ে। ম্যাচের বেশিরভাগ সময়ই বল পায়ে ছিল আর্জেন্টাইনদের। পুরো ম্যাচের ৩৬ শতাংশ সময় পায়ে বল রেখে আর্জেন্টিনার পোস্টে তারা শট করে ১৯টি। এর মধ্যে মাত্র ৪টি ছিল লক্ষ্যে।
ম্যাচের প্রথম থেকেই ছন্দহীন উরুগুয়েকে চেপে ধরে আর্জেন্টিনা। সপ্তম মিনিটে ডি মারিয়ার গোলে লিড নেয় সফরকারীরা।
পাওলো দিবালার ডান দিক থেকে দেয়া পাস ডি বক্সে পেয়ে আর দেরি করেননি ডি মারিয়া। দুর্দান্ত এক শটে বার পোস্ট ছুঁয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন পিএসজির এই মিডফিল্ডার।
এরপর টানা কিছুক্ষণ আর্জেন্টিনা ছিল আক্রমণে, কিন্তু সুবিধা করতে পারছিলেন না স্কালোনির শিষ্যরা।
ম্যাচের ২০ মিনিট পর্যন্ত বল দখলে নিয়ে ভালোই খেলছিল সফরকারীরা। এরপর কিছুটা ধীরগতি দেখা যায় আক্রমণে। সেই সুযোগে বলের দখল নিয়ে নেয় স্বাগতিক উরুগুয়ে। শুরু করে পাল্টা আক্রমণ, যা বজায় ছিল প্রথমার্ধের বাকি পুরো সময়।
৩২ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে করা লুইস সুয়ারেজের একটি শটে সমতায় ফিরতে পারত উরুগুয়ে, কিন্তু দুর্ভাগ্য পিছু না ছাড়ায় গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও বল আটকে যায় পোস্টে।
ফিরতি বলে ফের শট নিলেও লক্ষ্যে যায়নি সেটিও।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফের সুযোগ পায় উরুগুয়ে, কিন্তু এবারও ডি বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন হোয়াকিন পিকেরেস।
৮৪তম মিনিটে আরও একটি সুযোগ হাতছাড়া হয় উরুগুয়ের। আলভারেস মার্টিনেসের দুর্দান্ত এক হেডে সমতায় ফেরার সম্ভাবনা জেগেছিল স্বাগতিকদের, কিন্তু গোলবারের ওপর দিয়ে যাওয়ায় সমতায় আর ফেরা হয়ে ওঠেনি তাদের।
শেষের দিকে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন মেসি, কিন্তু খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি এ ফরোয়ার্ড।
শেষতক ১-০ ব্যবধানে জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। আগের লেগে আর্জেন্টিনা তাদের ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল উরুগুয়েকে।
২০২২ সালে অনুষ্ঠেয় কাতার বিশ্বকাপের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার এটি অষ্টম জয়। ১২ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে আছে তারা। আর ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল।