নিরাপত্তা ইস্যুতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগ মুহূর্তে বাতিল ঘোষণা করেছিল নিউজিল্যান্ড। ব্ল্যাকক্যাপদের দেখাদেখি পাকিস্তান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল ইংল্যান্ডও।
বড় দুই দল মুখ ফিরিয়ে নিলেও ঝুলে ছিল অস্ট্রেলিয়ার সফর নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। অজি বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, সিরিজটি নিয়ে তারা ভেবে দেখবে, সেই সঙ্গে পাকিস্তানের নিরাপত্তা ইস্যু নিয়েও তারা পর্যবেক্ষণ করবে। এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সিরিজটির ভবিষ্যৎ নিয়ে।
অবশেষে কেটে গেছে শঙ্কার কালো মেঘ। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের মার্চে তিনটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
সময়ের হিসাবে ২৪ বছর পর পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে ওয়ার্নাররা। সবশেষ ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানে খেলতে যায় অস্ট্রেলিয়া।
সোমবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
বিবৃতিতে পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজা বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানে আমন্ত্রণ জানাতে মুখিয়ে রয়েছি। ২৪ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দল আমাদের দেশে সফরে আসছে। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের ক্রিকেট দর্শকদের জন্য অনেক বড় এক উপহার।’
৩ মার্চ করাচিতে প্রথম টেস্টের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এই সফরের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর ১২ মার্চ রাওয়ালপিন্ডিতে ও ২১ মার্চ থেকে লাহোরে হবে সিরিজের বাকি দুটি টেস্ট। সবগুলো ম্যাচই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।
এরপর ২৯ মার্চ থেকে লাহোরে শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। ৩১ মার্চ ও ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের বাকি দুটি ওয়ানডে। ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচগুলো হবে বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ।
সবশেষ ৫ এপ্রিল লাহোরে একমাত্র টি-টোয়েন্টি খেলে পাকিস্তান ছাড়বে অ্যারন ফিঞ্চরা।