চলতি টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের কম সমালোচনা হয়নি জাতীয় ক্রিকেট দল নিয়ে। পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে সমর্থকদের সমালোচনা ভালো চোখে দেখেননি ক্রিকেটাররা।
তবে ব্যর্থ মিশন শেষে এবার অধিনায়ক স্বীকার করলেন- পারফরম্যান্স খারাপ হলে সমালোচনা মেনে নিতেই হবে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ হারার পর বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে সমালোচনার প্রসঙ্গে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘ওমানের বিপক্ষে ম্যাচের পর সমালোচনা নিয়ে আমি কিছুটা আবেগী হয়ে পড়েছিলাম। এটা ঠিক সমালোচনা হবে। সমালোচনা মেনে নিতেই হবে।’
দীর্ঘসময় ধরে বায়ো-বাবলে থেকে মানসিক অবসাদও এমন পারফরম্যান্সের ওপর প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন অধিনায়ক।
রিয়াদ বলেন, ‘দেখেন আমরা ৪-৫ মাস ধরে টানা ক্রিকেট খেলছি। বায়ো-বাবলে থাকছি লম্বা সময়। পরিবারকে ছাড়া আছি। এটা আমি অজুহাত দিচ্ছি না। এটা আসলে বোঝা প্রয়োজন। এটা কিন্তু খুব একটা সহজ বিষয় না।
‘নিজের কথাই বলি—আমি প্রিমিয়ার লিগ খেললাম টানা ২৬ দিন। এরপর জিম্বাবুয়েতে গেলাম। এরপর দেশে ফিরে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা খেললাম। এরপর বিশ্বকাপ। এটা আসলে খুব কঠিন। এই বায়ো-বাবলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া মানিয়ে নেয়াটাও কঠিন আমাদের জন্য।’
বাছাইপর্বে স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে সমালোচনার শিকার হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট দল। পরের ম্যাচে ওমানকে হারানোর পর সমালোচকদের একহাত নিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ।
সেই প্রসঙ্গ টেনে অধিনায়ক বলেন, ‘ আমাদের দায়িত্ব দেশের জন্য পারফর্ম করা। সেটা না করতে পারলে সমালোচনা হবে। এটা আমাদের মেনে নিতে হবে।’
বিশ্বকাপের মাঝে বাংলাদেশের ধারাবাহিক ভাবে ক্রিকেটারদের নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় বিসিবি কর্তাদের। বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের কোনো দূরত্ব নেই বলেও জানালেন অধিনায়ক।
রিয়াদ বলেন, ‘বোর্ডের সঙ্গে আমাদের কোনো দূরত্ব নেই। এটা ভুল ধারণা। আমাদের পারফরম্যান্স দেখানো উচিত। এটা না পারলে কথা শুনতেই হবে। সব দূরে ঠেলে আমাদের নিজেদের পারফরম্যান্সে ফোকাস করতে হবে।’