চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুধবার রাতটা ছিল রিয়াল মাদ্রিদের। কারিম বেনজেমার জোড়া গোলে ইউক্রেনের ক্লাব শাখতার দনেতস্কের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। অন্যদিকে এ-গ্রুপের ম্যাচে আরবি লাইপসিগের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে মেসিহীন প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)।
ঘরের মাঠে এদিন রিয়াল জয়ের পাশাপাশি গড়েছে অনন্য এক রেকর্ড। চ্যম্পিয়ন্স লিগে প্রথম ইউরোপিয়ান দল হিসেবে ১ হাজার গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছে লস ব্লাঙ্কোস।
ম্যাচের ১৪তম মিনিটেই শাখতারের বিপক্ষে লিড পায় রিয়াল। আর তাতে করেই রিয়ালের নাম উঠে যায় রেকর্ডবুকে।
গোল হজম করে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে সফরকারীরা। একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে রিয়ালের পোস্টে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছিল ধার।
চোখ রাঙাতে রাঙাতেই ম্যাচের ৩৯ মিনিটে সমতায় ফেরে শাখতার। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফার্নান্দোর দুর্দান্ত এক ভলি জালের ঠিকানা খুঁজে নেয়ায় ম্যাচে ফেরে ইউক্রেনের ক্লাবটি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে এগিয়ে যাওয়ার মিশনে বারবার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিল রিয়াল। কম যাচ্ছিল না শাখতারও।
৬৯তম মিনিটে দলের জন্য ফের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন বেনজেমা। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের পাসে গোল করে দলকে ফের এগিয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড।
এরপর আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। যার ফলে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।
এদিকে রিয়ালের জয়ের দিনে ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে পিএসজিকে। আগের লেগে আরবি লাইপসিগের বিপক্ষে ঘরের মাঠে জয় পেলেও বুধবার জার্মান দলটির মাঠে ২-২ গোলে ড্র করে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে নেইমার-এমবাপেদের।
আগের লেগের প্রতিশোধ নিতে ঘরের মাঠে শুরু থেকে পিএসজিকে চেপে ধরে লাইপসিগ। একের পর এক আক্রমণে নাজেহাল করে দিতে থাকে পিএসজির ডিফেন্ডারদের।
মেসি ইনজুরির কারণে ছিলেন না দলে, সেই সঙ্গে নেইমার-এমবাপে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে।
প্রথম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হলেও অষ্টম মিনিটের মাথায় ঠিকই লিড নেয় স্বাগতিকরা।
আন্দ্রে সিলভার বাঁ দিক থেকে বাড়ানো দুর্দান্ত এক ক্রসে ডি বক্সের ভেতর ডাইভ দিয়ে হেডে পিএসজি গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মাকে পরাস্ত করেন লাইপসিগকে উচ্ছ্বাসে ভাসান ফরাসি মিডফিল্ডার ক্রিস্টোফার এনকুকু।
দ্বাদশ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে ব্যর্থ হন সিলভা। দুর্দান্ত কিপিং দক্ষতায় সিলভার শট ঠেকিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন দোন্নারুম্মা।
ম্যাচের ১৭তম মিনিটে ফের সুযোগ হাতছাড়া হয় লাইপসিগের।
তবে ২০ মিনিটের মাথায় পিএসজি সমতায় ফেরে জিনি উইনালডামের কল্যাণে। সাইড লাইন থেকে নেইমারের থ্রু ডি-বক্সে পেয়ে যান কিলিয়ান এমবাপে। ফরাসি ফরোয়ার্ড সেটি এগিয়ে দিলে ছুটে গিয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ডাচ মিডফিল্ডার।
এরপর ৩৯তম মিনিটে ডি মারিয়ার কর্নার থেকে পাওয়া বল হেড করে নিজের দলকে ফের এগিয়ে দেন উইনালডাম।
নির্ধারিত সময় শেষ হবার ঠিক আগ মুহূর্তে এনকুকুকে পিএসজির ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্পেম্বে ডি-বক্সে ফেলে দিলে পেনাল্টি দেন রেফারি।
সেখান থেকে সফল স্পট কিকে দলকে সমতায় ফেরান সোবোসলাই। যার ফলে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় পিএসজিকে।