টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে স্লো আর লো উইকেটে খেলার পরিণামে বেশ ভুগতে হচ্ছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের।
আরব আমিরাতের স্পোর্টিং উইকেটে নাকানিচুবানি খাচ্ছেন লিটন-সৌম্যরা। বোলাররা ভালো করলেও ধরে রাখতে পারছেন না তাদের ধারাবাহিকতা।
বিশ্বকাপের আগে এ ভয়টাই করেছিলেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। তবে তাদের আশা ছিল, ওমানে গিয়ে অনুশীলন করে আর প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার মাধ্যমে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি কিছুটা ভালো হবে ক্রিকেটারদের।
তাদের ভুল প্রমাণ করে দিয়ে আরব আমিরাতের স্পোর্টিং উইকেটে খাবি খাচ্ছে জাতীয় দল।
বিশ্বকাপের তিন ম্যাচ হারের পর জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্য বোধোদয় হয়েছিল ঘরের মাঠে স্পোর্টিং উইকেট বানিয়ে সেখানে ক্রিকেটারদের খেলানোর।
জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলেছিলেন, ‘আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে উইকেটগুলোর অনেক উন্নতি করতে হবে। যেখানে ২০০-১৮০ রানের খেলা হবে ধারাবাহিকভাবে। পাওয়ার প্লে ব্যবহার করা, পাওয়ার হিটার তৈরি করা সেটা খুব বেশি হচ্ছে না।’
সাবেক অধিনায়কের কথায় তাল মিলিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বাজে দিনে তিনিই একমাত্র ইতিবাচক পারফরমার।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন তাসকিন। প্রতিপক্ষকে চার উইকেট হারাতে হয়েছে টাইগার বোলারদের বোলিং তোপের সামনে। যার ভেতর দুটিই শিকার করেছেন তাসকিন।
ঘরের মাঠে স্পোর্টিং উইকেট চান তাসকিন নিজেও। তার মতে, ঘরের মাঠে যেহেতু বাংলাদেশের অনেক সিরিজ থাকে, তাই সেখানে স্পোর্টিং উইকেট বানালে সেটি ক্রিকেটারদের জন্য অধিক ফলপ্রসূ হবে।
তাসকিন বলেন, ‘ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও ভালো উইকেটে খেলা হলে আমাদের বোলিং-ব্যাটিং দুটাই আরও উন্নত হবে। যত ভালো উইকেটে খেলা হবে বোলারদের তত চ্যালেঞ্জ বাড়বে। এতে আমাদের সবার উন্নতি হবে। ভবিষ্যতে ভালো উইকেটে খেললে ফল যা-ই হোক, বড় ইভেন্টগুলোতে সুবিধা হবে আশা করছি।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিজেদের শেষ ম্যাচে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে।