সুপার টুয়েলভের প্রথম তিন ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপের সেমিতে খেলার স্বপ্ন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটা ছিল টাইগারদের নিয়মরক্ষার। সেই ম্যাচে ৬ উইকেটে হেরে প্রথম জয়ের স্বপ্নটাও ভঙ্গ হয়েছে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের দেয়া ৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৯ বল ও ৬ উইকেট অক্ষত রেখে তৃতীয় জয় বাগিয়ে সেমির দিকে এক পা দিয়ে রাখল সাউথ আফ্রিকা।
লক্ষ্যটা সহজ হলেও ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অস্বস্তিতে পড়তে হয় প্রোটিয়াদের। দলীয় ৬ রানে তারা হারায় ওপেনার রিজা হেনড্রিকসকে। পাঁচ বলে চার রানের ইনিংস খেলে তাসকিন আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এরপর ৩৩ রানে প্রোটিয়ারা হারায় তাদের আরও দুই ব্যাটারকে। মাহেদী হাসানের স্পিন ভেলকিতে ধরাশায়ী হয়ে ১৬ রানে স্টাম্প হারান কুইন্টন ডি কক।
রানের খাতা খোলার আগে এইডেন মারক্রাম ফেরেন তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে। এরপর টেম্বা বাভুমাকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন রাসি ফন ডার ডুসেন।
নাসুম আহমেদের বলে শরিফুল ইসলামের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ফন ডার ডুসেনকে। তার আগে খেলেন ২৭ বলে ২২ রানের এক ইনিংস।
এরপর জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে একদম বেগ পেতে হয়নি বাভুমা ও ডেভিড মিলারকে। বাভুমা ৩১ ও মিলার ৫ রানে অপরাজিত থেকে দলকে এনে দেন ৬ উইকেটের সহজ জয়।
এর আগে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে দেখেশুনে খেলছিলেন লিটন দাস ও নাঈম শেখ। দলীয় ২২ রানে নাঈমের বিদায়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের শিবিরে উইকেটের মড়ক।
একে একে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে রানের খাতা খোলার আগে ডাগআউটে ফেরেন সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, নাসুম আহমেদ।
দলের হয়ে ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৭ রান আসে মাহেদী হাসানের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ করেন লিটন। আর তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করেন অভিষিক্ত শামীম পাটোয়ারী। তিনি আউট হন ১১ রানে।
এ ছাড়া নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ৯ রান আর অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ করেন ৩ রান।
শেষ পর্যন্ত নিয়মিত উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে ১৮.২ ওভারে ৮৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
সাউথ আফ্রিকার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাডা ও আনরিক নরটিয়া। দুটি উইকেট যায় তাবরেইজ শামসির ঝুলিতে আর একটি উইকেট নেন ডোয়েইন প্রিটোরিয়াস।
বাংলাদেশের টপ অর্ডার ধসিয়ে দেয়া স্পেলের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন রাবাডা।