এখন পর্যন্ত জয়ের দেখা না পেলেও অঙ্কের হিসাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। তবে শেষ চার নিশ্চিত করতে হতে হবে মিরাকেল কিছু। হাতে থাকা দুটি ম্যাচ জিততে তো হবেই, চেয়ে থাকতে হবে বাকি ম্যাচগুলোর দিকে। কঠিন সেই সমীকরণ বাংলাদেশের পক্ষে কতটা মেলানো সম্ভব তা-ই এখন দেখার বিষয়।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ মঙ্গলবার সাউথ আফ্রিকার মুখোমুখি হচ্ছে। আসরে আশার বিন্দু ধরে রাখতে আবুধাবিতে এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই মাহমুদুল্লাহদের।
তবে ম্যাচটি বাংলাদেশ খেলতে চলেছে তাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই। ইনজুরিতে দেশসেরা অলরাউন্ডার ছিটকে যাওয়ায় দলের ভারসাম্যে কিছুটা যে ভাটা পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সাকিবের বিকল্প হিসেবে ম্যাচে সুযোগ পেতে চলেছেন শামীম হোসেন। বিশ্বকাপে অভিষেক হতে চলেছে এই হার্ড হিটারের।
ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন উইকেট কিপার নুরুল হাসান সোহানও। তার জায়গায় মূল একাদশে খেলতে পারেন সৌম্য।
দুই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার হারিয়েও আশার কথা শুনিয়েছেন দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
সেমিতে ওঠার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেলেও শেষ দুই ম্যাচে লড়াই করতে চায় দল এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি ম্যাচে দারুণ লড়াই করেও হেরেছি। এতে এ বিশ্বকাপে সম্ভবত আমাদের সুযোগ শেষ হয়ে গেছে। বাকি দুটি ম্যাচে ভালো কিছু করতে মুখিয়ে আছে খেলোয়াড়রা।’
বিশ্বকাপে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যে নেই সাউথ আফ্রিকাও। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাভুমা-ককরা। তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখে তারা।
বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমির পথে এক ধাপ এগিয়ে থাকতে চাইবে দলটি। পরিসংখ্যান অবশ্য বলে, টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সাউথ আফ্রিকাকে হারানো সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের। ৬ ম্যাচের সব কটিতেই হার। তার একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে।
আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র একটি ম্যাচে জয়ের রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। চলতি টুর্নামেন্টে প্রথম জয়টা সাউথ আফ্রিকাকে দিয়েই হোক- এমন প্রত্যাশা টাইগার সমর্থকদের।
কোচ ডমিঙ্গো বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় পর্বে শুধু একটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। সেই রেকর্ডে উন্নতি করার সুযোগ আছে। বাকি দুটি ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব।’