টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লেগেছিল অ্যাশেজের উত্তাপ। সেই উত্তাপে টিকতে পারল না অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপ। যার সুবাদে ১২৬ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৫০ বল ও ৮ উইকেট অক্ষত রেখে জয় বাগিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড।
অস্ট্রেলিয়ার করা ১২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৬৬ রান এনে দেন ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় ও জস বাটলার।
২০ বলে রয়ের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। ৮ রানে বিদায় নেন ডাউয়িড মালানও। উইকেটের অপরপ্রান্ত আগলে ধরে ঝড় চালিয়ে যান বাটলার। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে ৭১ করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তাকে সে সময় সঙ্গ দিচ্ছিলেন জনি বেয়ারস্টো ১১ বলে ১৬ করে।
এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠান ইংল্যান্ড অধিনায়ক ওইন মরগান।
ম্যাচের শুরু থেকে অজি ব্যাটারদের চেপে ধরেন ইংলিশ বোলাররা। ২১ রানে চার অজি ফেরেন ক্রিস ওকস, আদিল রাশিদ ও ক্রিস জর্ডানের কল্যাণে।বিদায়ের আগে ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে আসে এক। স্টিভেন স্মিথ করেন এক ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ছয় রানে আউট হন। মার্কাস স্টয়নিস রানের খাতা খোলার আগে মাঠ ছাড়েন।
এরপর ম্যাথিউ ওয়েডকে সঙ্গে নিয়ে ৩০ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন অ্যারন ফিঞ্চ। ১৮ রান করে ওয়েড বিদায় নিলে লড়াই চালিয়ে যান ফিঞ্চ।
অ্যাস্টন এইগারের সঙ্গে ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে দলীয় স্কোর শতরানের কাছাকাছি নিয়ে যান অজি অধিনায়ক ফিঞ্চ। দলীয় ৯৮ ও ব্যক্তিগত ২০ রানে এইগার বিদায় নিলেও উইকেটে থাকেন অজি দলপতি।
একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে ফেরেন তিনি। শেষ দিকে প্যাট কামিন্স ১২ ও মিচেল স্টার্কের ১৩ রানের ইনিংসে ১২৫ রানের পুঁজি পায় অজিরা।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন ক্রিস জর্ডান। এ ছাড়া ক্রিস ওকস ও টাইমাল মিলস দুটি এবং লিয়াম লিভিংস্টোন নেন একটি উইকেট।
টানা তিন ম্যাচে তিন জয়ে গ্রুপ ওয়ানের শীর্ষে পৌঁছাল ইংল্যান্ড।