কাগজ-কলমের হিসাব বলছে, বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার আশা পুরোপুরি শেষ বাংলাদেশের। সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর সেই ধারা অব্যাহত ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষের ম্যাচেও।
টানা তিন হারে পয়েন্টের খাতা খুলতে পারেনি বাংলাদেশ। ৪ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি হবে চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ।
এরপর জাতীয় দল ব্যস্ত হয়ে পড়বে দেশে ফেরার মিশনে। দেশে ফিরে তাদের খেলতে হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
১৪ নভেম্বর পর্দা নামছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। এরপর ১৯ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।
টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে জানানো হয়েছে, যেহেতু বিশ্বকাপের ম্যাচ বাকি, তাই পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে এখন কোনো পরিকল্পনা করতে চাইছে না তারা।
যেহেতু বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার বেশ কিছুদিন আগেই দেশে ফিরে আসছে দল, সে কারণে ফেরার পর আলাদা করে ভাববে ম্যানেজমেন্ট।
শনিবার সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক হাবিবুল বাশার।
বাশার বলেন, ‘আমরা এখনো বিশ্বকাপের মধ্যেই আছি। আমাদের এখনও দুটি ম্যাচ বাকি আছে। ভবিষ্যতে কী করতে হবে না করতে হবে, অবশ্যই সে ব্যাপারে আমাদের চিন্তা আছে। তবে সেই চিন্তাটা এই বিশ্বকাপ শেষ করার পর করতে চাই।
‘বিশ্বকাপের পর তো কিছু সময়ও থাকবে পাকিস্তান সিরিজের আগে। তখনই আমরা চিন্তাভাবনাগুলো করব। এই মুহূর্তে আসলে এখন যে দলটা আছে সেটা নিয়ে ভাবছি। আর পরবর্তী সময়ে দুটি ম্যাচ আছে সেটি নিয়ে ভাবছি। ভবিষ্যতের কথা ভেবে কী করা উচিত, সেটা তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
দলের পারফরম্যান্সে হতাশ হলেও দলের জন্য সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি বলে মনে করছেন বাশার। নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে বাংলাদেশের পারফম্যান্স নিয়েও আশাবাদী তিনি।
২ নভেম্বর সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। এরপর ৪ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।