শুক্রবারের দুটি ম্যাচই গেল একেবারে শেষ পর্যন্ত। বাংলাদেশ-উইন্ডিজ ম্যাচের ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ বলের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ের জন্য এতটা অপেক্ষা করতে না হলেও জয় এসেছে চূড়ান্ত রোমাঞ্চের পরই।
দারুণ বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়ানো আফগান বোলিং অ্যাটাককে টপকে জয় ছিনিয়ে আনতে পাকিস্তানের শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ২৪ রানের। আসিফ আলি ১২ বল নিলেন না।ছয় বলে শেষ করলেন খেলা। চার ছক্কায় সাত বলে ২৫ রান করে দারুণ এক জয় উপহার দেন পাকিস্তানকে।
আফগানদের দেয়া ১৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১২ রানে ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারায় পাকিস্তান।
এরপর বাবর আজম ও ফখর জামানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে লড়াইয়ে ফেরে তারা। দুজনের ৬৩ রানের জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
২৫ বলে ৩০ করা ফখর জামানের বিদায়ে ভাঙে জুটি। মোহাম্মদ নাবির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন এই ব্যাটার।
প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন মোহাম্মদ হাফিজ। রাশিদ খানের বলে গুলবাদিনের হাতে ধরা দিয়ে ফিরতে হয় তাকে।
জয়ের বন্দরে দাঁড়িয়ে থেকে শোয়েব মালিককে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন বাবর। ব্যক্তিগত অর্ধশতক করে মোহাম্মদ নাবির হাতে জীবন পেলেও পরের বলে রাশিদ খানের শিকার হয়ে ৫১ রানে বিদায় নেন তিনি।
১৫ বলে ১৯ করে মালিককে ফিরতে হয় নাভিন উল হকের শিকার হয়ে।
এরপর পাশার দান চলে যায় আফগানিস্তানের কাছে। সেটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি আসিফ আলি। ১৯তম ওভারে কারিম জানাতকে চার ছক্কা হাঁকিয়ে এক ওভার হাতে থাকতেই জয় নিশ্চিত করেন আসিফ।
এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নাবি। ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৭ রানেই হাসান আলির শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন আফগান ওপেনার হজরত উল্লাহ জাজাই।
পরের ওভারে শেহজাদকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান শাহিন শাহ আফ্রিদি।
নিয়মিত উইকেট পতনে আফগানিস্তান পাওয়ার প্লেতে চার উইকেটের খরচায় ৪৯ রানের পুঁজি পায়। জাজাই আর শেহজাদের পথ ধরতে হয় আজগর আফগান ও রহমানুল্লাহ গুরবাজকে।
ব্যর্থ হন কারিম জানাতও। ২১ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলে শাদাব খানের বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়েন নাজিবুল্লাহ জাদ্রান।
শেষ দিকে মোহাম্মদ নাবির ৩২ বলে ৩৫ ও গুলবাদিন নাইবের ২৫ বলে ৩৫ রানের ইনিংসে বোর্ডে ছয় উইকেটে ১৪৭ রান তোলে আফগানিস্তান।
পাকিস্তানের হয়ে দুটি উইকেট নেন ইমাদ ওয়াসিম। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ, হাসান আলি ও শাদাব খান।