জাতীয় দলের তীরে এসে তরী ডোবানোর শুরুটা ২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপ ফাইনালে। শেরে বাংলায় দর্শক কেঁদেছিলেন দুই রানে হারের শোকে।
এরপর ২০১৬ সালে বাংলাদেশী ক্রিকেটপ্রেমীদের আঘাত দেয় ভারত। ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির সুপার টেনের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ১ রানে হারেন তামিম-সাকিবরা।
সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো ২০২১ সালে এসে। এবারে প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হারতে হয়েছে তিন রানে। তীরে এসে তরী ডুবিয়ে ভক্তদের কান্নায় ভাসান রিয়াদ-আফিফরা।
শুরুতে উইন্ডিজকে চেপে ধরলেও ম্যাচে খারাপ ফিল্ডিং ও ক্যাচ মিসের খেসারত ভালোভাবে দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
ম্যাচে দুটি সুযোগ হাত ছাড়া করেন উইকেটের পেছনে থাকা লিটন দাস। সেই সঙ্গে আফিফ হোসেনের হাত ফসকেছে একবার। আর মাহেদী হাসান দুইবার ছেড়েছেন রস্টন চেসের ক্যাচ।
চলতি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাছাইপর্ব থেকে এখন পর্যন্ত ৮টি ক্যাচ হাত ফসকে বেরিয়ে গেছে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের।
খেলোয়াড়রা নিজেরাও বুঝেছেন গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে তাদের দুর্বলতা। এখন পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে দেখা যায়নি কোনো পরিবর্তনের আভাস। আর এই দুর্বলতা স্বীকার করছেন খোদ দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
রিয়াদ বলেন, ‘এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলের সেরা ফিল্ডারদের কাছে প্রত্যাশা থাকে। কেউ তো ইচ্ছা করে ক্যাচ ছাড়ে না। তবে সেরাদের কাছে প্রত্যাশা থাকে সুযোগগুলো নেবে। ম্যাচের পর ম্যাচ আমরা যেহেতু ভুলগুলো করছি, তাই এটা দুশ্চিন্তার বিষয়। ক্যাচিং আরও ভালো করতে হবে ও করা উচিত।’
উইন্ডিজের বিপক্ষে হাতছাড়া হওয়া ম্যাচে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগালে জয় পাওয়া যেত মনে করছেন রিয়াদ।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় যে এক, দুটো সুযোগ এসেছিল, সেগুলো নিতে পারলে অন্তত ১০টা রান কম হতো। তখন আমাদের জন্য রান তাড়াটা আরেকটু সহজ হতো। চেষ্টা করেছি, হয়নি। টি–টোয়েন্টি খেলাটা এমনই।’
টানা তিন হারে বাংলাদেশের সেমিতে খেলার স্বপ্ন এখন সাধ্যের বাইরে। আর দুটি ম্যাচ আছে বাংলাদেশের সামনে। সেগুলোতে জয় পেলেও ভাগ্য পরিবর্তিত হবে না টাইগারদের। নিয়মরক্ষার ম্যাচে দুই নভেম্বর সাউথ আফ্রিকা ও চার নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াদের দল।