ম্যাচের পঞ্চম ওভারের ঘটনা। একটা দৃশ্য দেখে কেঁপে উঠল টাইগার ক্রিকেটপ্রেমিদের বুক। হ্যামস্ট্রিং চেপে মাঠ ছেড়ে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। স্বস্তির কথা, পরের ওভারে মাঠে ফেরেন সাকিব।
তবে বোলিংয়ের সময় বোঝা গেছে পুরো ফিট ছিলেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। শর্ট রানআপে নিজের চার ওভার বল করেন তিনি।
ডেলিভারির পর প্রায় সময়টাতেই পায়ে চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। ব্যথা নিয়েই বোলিং করেন সাকিব।
দশম ওভারে বল করতে এসে প্রথম তিন ওভারে নিয়ন্ত্রণে রাখেন রানের চাকা। প্রথম ওভারে দেন তিন রান।
দ্বিতীয় ওভারে তার বল থেকে আসে চার রান। তৃতীয় ওভারে ছয় রান দেন এই চ্যাম্পিয়ন। তবে তার দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে সুযোগ হাতছাড়া করে ফিল্ডাররা।
দ্বিতীয় বলে রস্টন চেসের সহজ ক্যাচ ছাড়েন মাহেদী হাসান। আর চতুর্থ বলে নিকোলাস পুরানের স্টাম্পিং মিস করেন লিটন দাস।
সাকিবের ওভারে জীবন পাওয়া পুরান ১৬তম ওভারে চড়াও হন তার ওপর। ওই ওভারে দুটি ছক্কাসহ ১৫ রান দেন সাকিব। চার ওভারে ২৮ রান দেন তিনি। তবে উইকেট পাননি।
চার ওভারের স্পেলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বল করার পর ব্যাট হাতে ওপেন করেন সাকিব। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবার ওপেন করেন সাকিব।
এর আগে বিপিএলে ওপেন করলেও বাংলাদেশের জার্সিতে এই প্রথম ইনিংস শুরু করেছেন এ চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার। ১২ বলে ৯ রান করে আউট হন তিনি।