ডু-অর-ডাই ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৪৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের খরচায় বাংলাদেশের সামনে ১৪২ রানের পুঁজি দাঁড় করায় ক্যারিবীয়রা।
শারজায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে উইন্ডিজ ব্যাটারদের চেপে ধরে টাইগার বোলাররা। বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেটের খরচায় ২৯ রান তোলে উইন্ডিজ।
দলীয় ১২ রানে ক্যারিবীয় শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। ৬ রান করা এভন লুইসকে ফেরান মুশফিকের তালুবন্দি করে। ম্যাচের পঞ্চম ওভারে ক্রিস গেইলকে ফেরান মাহেদী হাসান।
মাহেদীর দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন শিমরিন হেটমায়ার। তবে দুর্ভাগা ছিলেন আন্দ্রে রাসেল।ম্যাচের ১৩তম ওভারে তাসকিনের বলে নন-স্ট্রাইকে থেকে রানআউট হন রাসেল। রস্টন চেসের ড্রাইভ তাসকিনের পায়ে লেগে নন-স্ট্রাইকের স্টাম্প ভেঙে দিলে শূন্য রানে ফিরতে হয় তাকে।
এরপর নিকোলাস পুরান ও চেসের ব্যাটে ভর করে দলীয় সংগ্রহ ১০০ ছাড়ায় উইন্ডিজ। দলের হাল ধরে দুইজনে মিলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি।
ব্যক্তিগত ৪০ রানে শরিফুলের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাঈম শেখের হাতে আটকা পড়েন নিকোলাস পুরান।
সঙ্গীর বিদায় মেনে নিতে না পেরে পরের বলে স্টাম্প হারিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন চেস। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান।
শেষদিকে জেসন হোল্ডারের ঝড়ো ৫ বলে ১৫ রানের ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানের পুঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে উইন্ডিজ।
প্রথম ১৫ ওভারে তাসকিন-মুস্তাফিজদের বোলিং তোপের মুখে ১৫টি বাউন্ডারি হাঁকাতে পারে উইন্ডিজের ব্যাটাররা।শেষ ৫ ওভারে পাশার দান উল্টে ফেলেন তারা। শেষ পাঁচ ওভারে হোল্ডার-পোলার্ডদের ব্যাট থেকে এসেছে ছয়টি ছক্কার মার।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন, মুস্তাফিজ ও মাহেদী।