টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে নাকানিচুবানি খাইয়েছিল বাংলাদেশ। টানা তিন সিরিজ জিতে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকে বিশ্বকাপে খেলতে যায় বাংলাদেশ।
পাশার দান বদলে যায় আসরের শুরুতে। প্রস্তুতিপর্বে ওমানের দ্বিতীয় সারির দল ছাড়া জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের মূল দলের বিপক্ষে হারকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয় লিটন-নাঈমদের।
বাছাইপর্ব শুরু হয় টাইগারদের স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে। এরপর খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে থেকে ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে জিতে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করে মাহমুদুল্লাহ বাহিনী।
সুপার টুয়েলভের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আবার হারের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে ডমিঙ্গো শিষ্যরা। যা অব্যাহত ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচেও।
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই সহজ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে হারায় সমালোচনা শুনতে হয়েছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। সমালোচনায় যে সাকিব-রিয়াদরা বিরক্ত সেটি কয়েকবারই প্রকাশ পেয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।
অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ জবাবও দেন সমালোচনার। আর পুরো বিষয়টি যে প্রভাব ফেলছে জাতীয় দলের পারফরম্যান্সে তা ক্রিকেটারদের শরীরের ভাষায় পরিষ্কার।
সে কারণে ক্রিকেটারদের সমালোচনা গায়ে না মেখে খেলায় মনোযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক নাইমুর রহমান দুর্জয়।
নিউজবাংলাকে দুর্জয় বলেন, ‘এগুলো থাকবে। মাঠের বাইরে অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়। খেলোয়াড়দের উচিত এসবে কান না দিয়ে, মাথা না ঘামিয়ে খেলায় ফোকাস করা।’
সাকিব-মুশফিকদের একই পরামর্শ দেন দেশসেরা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা।
নিজের ফেসবুকে মাশরাফি লেখেন, ‘তোমাদের ভালোবাসে বলেই এত কথা বলে। পরের ম্যাচে সেরাটা দিয়ে জিতে আসলে দেখবা সবাই আনন্দে পেছনের বিষয় ভুলে যাবে। একমাত্র ইতিবাচক মানসিকতা সেরাটা বের করে আনতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।’