বাস্তবতা দেখল বাংলাদেশ। কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলে এএফসি অনূর্ধ্ব ২৩ এশিয়ান কাপের মিশনে নেমে প্রথম ম্যাচে কুয়েতের কাছে হেরে গেছে বাংলাদেশের যুবারা।
উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ সময় বিকাল চারটায় শুরু হওয়া ডি গ্রুপের ম্যাচে কুয়েতের কাছে এক গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।কুয়েতের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া সাফের স্কোয়াডে ছিল এমন ছয়জন ফুটবলার নিয়ে মূল একাদশ সাজান মারুফুল হক। সম্প্রতি সিনিয়র জাতীয় দলে খেলেছেন এমন নয়জন ছিলেন ম্যাচের স্কোয়াডে।
অধিকাংশ জাতীয় দলের খেলোয়াড় নিয়েও কুয়েতের কাছে হেরেছে মারুফ বাহিনী।
ম্যাচের শুরু থেকে অগোছাল খেলে বাংলাদেশের যুবারা। সমন্বয়ের অভাবে বারবার আশাহত হয়ে ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
অন্যদিকে লাগাতার আক্রমণ সাজিয়ে গেছে কুয়েত। অনেকটা শান্তভাবে পুরো ম্যাচ খেলেছে তারা। ওমান, ইয়েমেন, জর্ডান ও কাতারের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে প্রস্তুতি নেয়া কুয়েত ছিল সাবলীল।
কুয়েত ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশ। ছবি: বাফুফে
ম্যাচের ১৮ মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে নেয় কুয়েত। ডি-বক্সের ভেতরে বাদশার হাতে বল লাগায় পেনাল্টি পায় কুয়েত।
পেনাল্টি রুখে দিয়ে দলকে পিছিয়ে পড়া থেকে রক্ষা করেন গোলকিপার পাপ্পু। ঠিক তার পরের মিনিটে নিজের দলের ধ্বংস ডেকে আনেন তিনি।
কুয়েতের ডিফেন্স থেকে লং পাস এগিয়ে এসে ক্লিয়ার করতে সামনে এসে বাংলাদেশের বিপদ ডেকে আনেন পাপ্পু। তার ভুলে গোল করে এগিয়ে যায় কুয়েত।
দ্বিতীয়ার্ধেও ভাগ্য বদলায়নি। প্রথমার্ধের থেকে তুলনামূলক বেশি আক্রমণ করে বাংলাদেশ। তবে গোলের দেখা পায়নি তারা। ভালো কোনো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি মারুফ বাহিনী।
ম্যাচের ৫৮ মিনিটে কুয়েতের ডি-বক্সের ভেতরে হ্যান্ডবলের দাবি করে বাংলাদেশ। কুয়েতের ডিফেন্ডারের হাতে বল লাগায় এ দাবি করে তারা। এতে কোনো সাড়া দেয়নি রেফারি।
পরে আর সমতায় ফেরা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের। হারের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফাহিম-বাদশারা।
এ দিকে ডি-গ্রুপে সৌদি আরব-উজবেকিস্তান ম্যাচটি ড্রয়ে শেষ হয়। বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলবে আয়োজক উজবেকিস্তানের বিপক্ষে।