এ বছরই চুক্তির মেয়াদ শেষে বায়ার্ন মিউনিখ ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন ডাভিড আলাবা। বায়ার্নে থাকার সময়ে বিখ্যাত ৮-২ গোলে বার্সেলোনাকে হারানোর ম্যাচে তিনি ছিলেন। আর রিয়ালের জার্সিতে প্রথম এল ক্লাসিকোতেও বার্সাকে হারানোর অন্যতম নায়ক হয়ে থাকলেন এই ফুল ব্যাক।প্রথমার্ধে তার করা গোলের সঙ্গে ইনজুরি টাইমে লুকাস ভাসকেসের গোলে বার্সেলোনাকে ২-১ ব্যবধানে হারায় রিয়াল। বার্সেলোনার হয়ে শেষ মুহূর্তে এক গোল শোধ করেন আগুয়েরো। এ জয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে গেল রিয়াল মাদ্রিদ।
বার্সেলোনার মাঠ কাম্প ন্যুয়ে শুরু থেকে সমানে সমান লড়াই করে দুই দল। প্রথম সুযোগ পায় অতিথিরা।
২৪ মিনিটের সময় বার্সা গোলকিপার মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগানকে লাইন থেকে টেনে বের করার পরও গোলের দেখা পাননি ভিনিসিয়াস জুনিয়র। টের স্টেগানকে বারদুয়েক কাটিয়ে লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন এ ব্রাজিলিয়ান।
দুই মিনিট পর মাঠের অন্যপ্রান্তে সুযোগ পায় বার্সেলোনা। মেম্ফিস ডিপায় বক্সে বল বাড়ালে সেটি পেয়ে যান আনসু ফাতি। নিজে শট না নিয়ে বল ছাড়েন সার্জিনিয়ো ডেস্টের উদ্দেশে।
রিয়াল মাদ্রিদ গোলকিপার থিবো কোঁতোয়াকে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি ডেস্ট।
সুযোগ হাতছাড়া করার খেসারত দেয় বার্সেলোনা মিনিট সাতেক পর। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বার্সা বক্সের কাছে বল পেয়ে যান আলাবা। বাম পায়ের জোরালো শটে দলকে এগিয়ে নেন এ অস্ট্রিয়ান।
দুর্দান্ত ওই গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় রিয়াল মাদ্রিদ।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার মতো আক্রমণ রচনা করতে পারেনি বার্সেলোনা। ডিপায়, ফাতিরা রিয়ালের রক্ষণে ফাটল ধরাতে পারেননি।রিয়ালও আক্রমণ রচনার চেয়ে গোল রক্ষা করায় বেশি মনোযোগী ছিল। তবে ইনজুরি টাইমের একেবারে শেষে লুকাস ভাসকেস দলের পক্ষে স্কোরলাইন ২-০ করে দেন আর নিশ্চিত করেন বার্সেলোনার পরাজয়।
এরপর ৯৮ মিনিটে বার্সেলোনার হয়ে বদলি হিসেবে নামা সার্হিও আগুয়েরো গোল করলেও সেটিতে ম্যাচভাগ্য পাল্টায়নি। ২-১ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
হারের ফলে নয় ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের আটে থাকল কাতালান ক্লাবটি। শিরোপা লড়াইয়ে ফিরতে হলে ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় খুঁজে বের করতে হবে রোনাল্ড কুমানের দলকে।