বছর চারেক আগেও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাব ফুটবল ম্যাচ ধরা হতো এটিকে। শুরুর সপ্তাহদুয়েক আগে থেকে বিশ্বের তাবৎ সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে থাকত ম্যাচের খুঁটিনাটি। বিশ্বের সেরা দুই দলের ফুটবলাররাও তেতে থাকতেন বছরজুড়ে।
‘এল ক্লাসিকোর’ সেই জৌলুস এখন আর নেই। রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনার ধ্রুপদী লড়াই এখন শুধু আটকে ঐতিহ্যের আর লা লিগার বড় ম্যাচের মোড়কে। বার্সেলোনার মাঠ কাম্প ন্যুয়ে বাংলাদেশ সময় রাত ৮.১৫ মিনিটে প্রথমবার মৌসুমে মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি।
২০১৭ সালে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালডোর বিদায়ে শুরু। ২০২১ সালে লিওনেল মেসি যখন বার্সেলোনা ছাড়লেন তখন এল ক্লাসিকো তো বটেই পুরো লা লিগার জনপ্রিয়তা নিয়েই চিন্তিত হয়ে পড়ে কর্তৃপক্ষ।
এক সময় ক্লাসিকো মাতাতেন রোনালডো, রামোস, কাসিয়াস, মেসি, চাভি, ইনিয়েস্তা, সুয়ারেসরা। সেখানে এখন তারকার খাতায় জোর করে বসাতে হয় বেনজেমা, ভিনিসিয়াস, ফাতিদের।
ক্লাসিকোর বৈশ্বিক আকর্ষণ কমে গেলেও দুই ক্লাবের সমর্থকদের কাছে ম্যাচের গুরুত্ব কমছে না। বরং দুই দলের কাছে ম্যাচের গুরুত্ব দুই রকম।
টেবিলের তিনে থাকা রিয়াল আজ জিতলে শীর্ষে ওঠার সুযোগ পাবে। আর আটে থাকা বার্সেলোনার সামনে সুযোগ থাকবে তিনে উঠে আসার ও শিরোপা লড়াইয়ে টিকে থাকার।
ক্লাসিকোতে হারলে বিপর্যস্ত রোনাল্ড কুমানের বিদায় ঘণ্টা বেজে যেতে পারে। মেসিকে ছাড়া ম্যাচ জিততে সংগ্রাম করতে হচ্ছে বার্সেলোনা বসকে।
রিয়ালের বিপক্ষে ফেলিপে কোতিনিয়ো ও উসমান ডেম্বলেকে একাদশে রাখছেন না কুমান তা প্রায় নিশ্চিত। মেম্ফিস ডিপায়, লুক ডি ইয়ং ও আনসু ফাতির ওপরই নির্ভর করবেন কুমান।
অনুশীলনের ফাঁকে বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। ছবি: টুইটার
অন্যদিকে, সেরা তারকাদেরই পাচ্ছে রিয়াল। বেনজেমার সঙ্গে আক্রমণে থাকছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। টনি ক্রুস, কাসেমিরো ও লুকা মডরিচের অভিজ্ঞতায় নিশ্চিত ভাবে এগিয়ে থাকবে রিয়াল মাদ্রিদ।
দুই দলের সবশেষ তিন ম্যাচে তিনবারই জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। পরিসংখ্যানকে নিজেদের দিকে আরও ভারী করতে চাইবে লস ব্লাঙ্কোস। অন্যদিকে, বার্সেলোনার কোচের ভবিষ্যত নির্ভর করছে আজকের ম্যাচের ওপর।
বার্সেলোনা একাদশ: টের স্টেগান, আলবা, পিকে, গার্সিয়া, রবার্তো, ফ্র্যাংকি ডি ইয়ং, গাভি, বুস্কেটস, লুক ডি ইয়ং, ডিপায়, ফাতি
রিয়াল একাদশ: কোঁতোয়া, নাচো, মিলিতাও, আলাবা, মেন্ডি, কাসেমিরো, ক্রুস, মডরিচ, রদ্রিগো, ভিনিসিয়াস, বেনজেমা।