সর্বকালের সেরা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ধরা হয় সেটিকে। ইডেন গার্ডেনসে প্রায় ৬০ হাজার দর্শকের সামনে চার বলে চার ছক্কার অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়ে ইংল্যান্ডের নাগালের মধ্যে থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি কেড়ে নেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট।নিজেদের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে ড্যারেন স্যামির ওয়েস্ট ইন্ডিজ।তারপরের পাঁচ বছরে পাল্টেছে অনেক কিছুই। ওয়ানডের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়নের খেতাব ধরে রাখলেও কাণ্ডারি স্যামিকে হারিয়েছে উইন্ডিজ। হোল্ডার, ব্র্যাথওয়েইটের হাত ঘুরে অধিনায়কত্ব এখন অভিজ্ঞ কাইরন পোলার্ডের কাঁধে।এবারের বিশ্বকাপের আগে দুই দলই আছে ছন্দে। দেশের মাটিতে খেলা চারটি সিরিজের দুটি জিতেছে উইন্ডিজ। অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জেতার পাশাপাশি তারা হেরেছে সাউথ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের কাছে।
বিশ্বকাপ যাত্রা শুরুর আগে পোলার্ড জানালেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওই ম্যাচ সব সময়ই অনুপ্রাণিত করে তাদের।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ওই পরিস্থিতিটা আমাদের হার না মানা চরিত্রকে তুলে ধরেছে। ও ধরনের স্মৃতি সবার সঙ্গে মিশে থাকে। দল হিসেবে আবারও আমরা এই টুর্নামেন্টটা জিততে চাই।’
অন্যদিকে ইংল্যান্ড ভারতের কাছে হেরে বছর শুরু করলেও সিরিজ জিতেছে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। ওয়ানডের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা শর্টার ফরম্যাটেও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পেতে প্রস্তুত।
২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। ১১ বছর পর ওইন মরগানের নেতৃত্বে আবারও বিশ্বজয় করতে প্রস্তুত বাটলার, বেয়ারস্টো, রয় ও রাশিদদের সোনালি প্রজন্ম।
মরগান জানান ২০১৬-এর হার নয়, বরং ২০১৯-এর বিশ্বজয় থেকেই শিক্ষা নিয়েছে দল।
তিনি বলেন, ‘ওই হারের ক্ষত থাকলে আমার মনে হয় না আমরা গত চার-পাঁচ বছর যেমনটা উন্নতি করতে পেরেছি, তেমনটা পারতাম।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাঁচবার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাঁচবার জিতেছে ক্যারিবিয়ানরা।
সম্ভাব্য একাদশ
উইন্ডিজ : এভন লুইস, লেন্ডল সিমন্স, ক্রিস গেইল, নিকোলাস পুরান, শিমরন হেটমায়ার, কাইরন পোলার্ড, আন্ড্রে রাসেল, ডোয়েইন ব্রাভো, আকিল হোসেন, ওবেদ ম্যাকয় ও ওশান টমাস।
ইংল্যান্ড : জেসন রয়, জস বাটলার, জনি বেয়ারস্টো, মইন আলি, লিয়াম লিভিংস্টোন, ওইন মরগান, ক্রিস ওকস, ডেভিড উইলি, আদিল রাশিদ, মার্ক উড ও ক্রিস জর্ডান।