টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের টিকিয়ে রাখার ম্যাচে স্বাগতিক ওমানকে ১৫৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রানের পুঁজি পেয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
ওমানের এমিরেতস স্টেডিয়ামে টসে হেরে বল করতে নেমে শুরু থেকে ওমান শিবিরে চলছিল ক্যাচ মিসের মহড়া। দলীয় ১১ রানে লিটন দাস সাজঘরে ফেরার আগে তিনটি ক্যাচ ছাড়েন স্বাগতিক ফিল্ডাররা। এর দুটি লিটনের একটি নাঈম শেখের।
ব্যক্তিগত ৬ রান করে লিটন দাস ফেরার পর শূণ্য রানে মাঠ ছাড়েন মাহেদী হাসান।
ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের ইনিংস মেরামতের গুরুভার কাঁধে তুলে নেন সাকিব আল হাসান। নাঈমকে সঙ্গে নিয়ে ৮০ রানের দুর্দান্ত এক পার্টানারশিপ গড়ে দলকে নিয়ে যান সুবধাজনক অবস্থানে।
১৪ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রানআউট হন সাকিব। ২৯ বলে ৪২ রান করেন তিনি।
ব্যাটিং লাইন আপে পরিবর্তন এনে মুশফিকের পরিবর্তে নামানো হয় নুরুল হাসান সোহানকে। রান পাননি তিনি। চার বলে তিন করে মাঠ ছাড়েন।
বড় স্কোর আসেনি আফিফ হোসেনের ব্যাট থেকেও। পাঁচ বলে এক রান করে আউট হন এই ড্যাশার। বড় শট খেলতে গিয়ে আয়ান খানের তালুবন্দি হয়ে বাংলাদেশের হয়ে চলতি বিশ্বকাপের প্রথম অর্ধশতক করে মাঠ ছাড়েন নাঈম।
৫০ বলে ৬৪ রান করেন এই ওপেনার। তার ইনিংসে ছিল চারটি ছক্কা ও তিনটি চার।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মুশফিক উইকেটের পেছনে ধরা দিয়ে ফেরেন ৬ রানে। পরের বলে রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফিরতে হয় সাইফউদ্দিনকে।
এরপর বাকি কাজটা সারেন দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং সাইফউদ্দিন মিলে। শেষ পর্যন্ত সবগুলো উইকেটের খরচায় ১৫৩ রান তুলে মাঠ ছাড়ে ডমিঙ্গো শিষ্যরা।
১০ বলে ১৭ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। ওমানের পক্ষে বিলাল খান ও ফাইয়াজ বাট তিনটি করে উইকেট নেন।