বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডেলিভারিম্যান থেকে বাংলাদেশ বধের নায়ক

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৬:২১

স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার জানালেন গ্রিভসের উঠে আসার গল্পটা। স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ৩১ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারের কোনো চুক্তি নেই। কিছুদিন আগেও অ্যামাজন ডটকমের ডেলিভারি ড্রাইভারের কাজ করতেন তিনি।

ক্রিস গ্রিভসের গল্পটা বিশ্বকাপের বিশ্বমঞ্চের জন্য যেন উপযুক্ত। জিরো থেকে হিরো হওয়ার জন্য বিশ্বকাপের চেয়ে বড় মঞ্চ আর কী হতে পারে! নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে বাংলাদেশকে হারানোর নায়ক এই অলরাউন্ডার বিশ্বকাপের এক মাস আগেই স্কটল্যান্ড জাতীয় দলে নিয়মিত ছিলেন না।বিশ্বকাপের আগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এক ম্যাচে চার উইকেট পাওয়ায় তার দিকে নজর পড়ে স্কটিশ নির্বাচকদের।বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়ে প্রথম ম্যাচে দেখালেন ব্যাট ও বলের ভেলকি। তাতেই বাংলাদেশের মতো টেস্ট খেলুড়ে দেশ কুপোকাত।ব্যাট হাতে ২৮ বলে ৪৫ রান করার পাশাপাশি বল হাতে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন গ্রিভস।স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার জানালেন গ্রিভসের উঠে আসার গল্পটা। স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ৩১ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারের কোনো চুক্তি নেই। কিছুদিন আগেও অ্যামাজন ডটকমের ডেলিভারি ড্রাইভারের কাজ করতেন তিনি।কোয়েটজার বলেন, ‘ওর জন্য অসাধারণ একটা দিন ছিল। কিন্তু আমরা অবাক হইনি। জানতাম যে তার এমন কিছু করার সামর্থ্য আছে। আমি গ্রিভসকে নিয়ে গর্বিত।‘সে অ্যামাজনের হয়ে পার্সেল ডেলিভারির কাজ করত খুব বেশি দিন হয়নি। আর এখন ও বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছে।’শুধু গ্রিভসই নন, স্কটল্যান্ড একাদশে মার্ক ওয়াটের মতো আরও খেলোয়াড় রয়েছেন যাদের কোনো পেশাদার চুক্তি নেই। অধিনায়ক কোয়েটজারের প্রশংসা ঝরেছে তার দলের প্রত্যেক সদস্যের জন্য।তিনি বলেন, ‘তারা খুব একটা পরিচিত খেলোয়াড় নন। এ পর্যন্ত আসতে তাদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। গ্রিভসের কোনো চুক্তি নেই। অত্যন্ত পরিশ্রমের পর সে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। এক মাস আগেই তার এই ম্যাচে খেলার কোনো সুযোগই ছিল না।‘এ থেকে প্রমাণ হয় যে অ্যাসোসিয়েট ক্রিকেটেও দারুণ কিছু খেলোয়াড় রয়েছে যাদের আসলে একটা মঞ্চ দরকার নিজের প্রতিভা দেখানোর জন্য।’সহযোগী দেশগুলোকে আরও সুযোগ দিতে আইসিসির কাছে আবেদন জানিয়েছেন কোয়েটজার। স্কটল্যান্ডের মতো দেশগুলোর আরও সুযোগ দরকার মনে করেন স্কটিশ অধিনায়ক।তিনি বলেন, ‘এত বড় মঞ্চ আমাদের মতো সহযোগী দেশগুলোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্কটল্যান্ড, নেপাল বা মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলো যখন ভালো খেলে ও কোনো ম্যাচ জেতে তখন সেটা তাদের দেশের ক্রিকেটের প্রসারকে আরও সাহায্য করে।’বাংলাদেশকে হারানোয় গ্রুপ-বি থেকে চূড়ান্ত পর্বে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে স্কটল্যান্ড। মঙ্গলবার পাপুয়া নিউ গিনিকে হারাতে পারলে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত হবে তাদের।

এ বিভাগের আরো খবর