প্রস্তুতি ম্যাচে টানা দুই পরাজয়ের ধারা থেকে বাংলাদেশ বাছাই পর্বেও বের হতে পারেনি। বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে ছয় রানে হেরেছে টাইগাররা।
স্কটিশদের দেয়া ১৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও লিটন দাসকে হারায় বাংলাদেশ। এরপর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দুর্দান্ত ৪৭ রানের এক জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দেন মুশফিকুর রহিম।
বড় শট খেলতে গিয়ে সাকিব মাঠ ছাড়লেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন মুশি। খেলছিলেনও দুর্দান্ত। কিন্তু ক্রিস গ্রিভসের বল স্কুপ করতে বোল্ড হয়ে ফেরেন মুশি। তার এই ফিরে যাবার পরই অস্ত যাওয়া শুরু করে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন।
সাকিবের পরই মুশফিকের বিলিয়ে দিয়ে আসা উইকেটটিকে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে মানছেন জাতীয় দলের দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেন তিনি।
মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘আমার মনে হয় মুশফিকের উইকেটটা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। মুশি আজকে ভালো খেলছিল। একজন সেট ব্যাটসম্যানের উইকেটে থাকাটা খুবই জরুরি।’
পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনারকে হারানোর পর অনেকটা ধীরগতিতে ব্যাট করেন সাকিব ও মুশফিক। তাতে বাংলাদেশ জয়ের পথে থাকলেও, মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি দল, এমনটা মনে করছেন মাহমুদুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে প্রথম ছয় ওভারে আমরা রান করতে পারিনি। আমরা চাচ্ছিলাম প্রথম পাওয়ার প্লে যেন ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারি। ১৪০ তাড়া করতে ভালো একটা শুরু প্রয়োজন।‘মুশফিক-সাকিব কিছুটা রিকভারিও করেছিল। কিন্তু মিডলে আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। যেটা আমি বললাম যে উইকেট ভালো ছিল, কিন্তু আমরা সেটি কাজে লাগাতে পারিনি। আমাদের ভুল বেশি ছিল আজকে।’
বাংলাদেশের বড় শক্তি স্পিনের বিপক্ষে সহজাত দক্ষতা। তবে আজকে স্পিনারদের কাছেই ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট বিলিয়ে এসেছেন ব্যাটসম্যানরা। সেটি চোখ এড়ায়নি অধিনায়কেরও।
মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘একটা পরিকল্পনা ছিল স্পিনারদের বেশি আক্রমণ করার। তাদের ওভারে যদি রান হতো তাহলে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারতাম। মাঝখানে কয়েকটি উইকেট হারিয়েছি। বড় ওভারগুলো আমরা কাজে লাগাতে পারিনি, যার কারণে রান রেট বেড়ে গেছে। পরের ম্যাচে আমাদের সেগুলো মাথায় রাখতে হবে।’
১৯ অক্টোবর ওমানের বিপক্ষে বাছাই পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।