লম্বা সময় ইনজুরির সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। লড়াই শেষে ফিরেছেন ক্রিকেটে। জাতীয় দলের জন্য নিজেকে দারুণভাবে প্রস্তুত করেছেন তাসকিন আহমেদ।কড়া লকডাউনে সব যখন আটকে আছে, সে সময় নিজের ফিটনেস ধরে রাখতে তাসকিন ছিলেন বেশ তৎপর। একাই চালিয়ে গেছেন ফিটনেস ধরে রাখার অনুশীলন। ফলে ইনজুরি থেকে ক্রিকেটে ফিরেছেন দুর্বার হয়ে।
বরাবর দ্রুত গতির বোলার হিসেবে পরিচিতি পেলেও যথার্থ লাইন লেংথের অভাবে ভুগেছেন প্রায় সাত বছরের ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেকে প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে বেছে নেন তাসকিন। নিজের সেরা গতিতে ফেরার আভাস দেন স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে।
শুরু থেকে দারুণ গতি ধরে রেখে স্কটিশ ব্যাটারদের ওপর চড়াও হন তাসকিন। নিজের প্রথম ওভারে টানা দুটি ডেলিভারি করেন তিনি ঘণ্টায় ১৪৮ কিমি গতিতে। মাইলের হিসেব করলে যা ৯২ মাইলের কাছাকাছি।
জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত এটিই তার সর্বোচ্চ গতির ডেলিভারি। এটি কোনো বাংলাদেশি বোলারের সর্বোচ্চ গতির ডেলিভারি নয়।
সর্বোচ্চ গতির ডেলিভারিটি এসেছে মাশরাফি মোর্ত্তজার কাছ থেকে। ১৪৯ কিমি গতিতে বল ছুড়েছিলেন সাবেক এই অধিনায়ক। ২০০১ সালে অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে এই ডেলিভারিটি এসেছিল ম্যাশের হাত দিয়ে। তবে সেটির আনুষ্ঠানিক রেকর্ড নেই।
এছাড়াও ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে জাতীয় দলের আরেক পেইসার রুবেল হোসেন ছুঁড়েছিলেন ১৪৭.৯ কিমি গতির ডেলিভারি।