বকেয়া গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) আদায়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। বকেয়া রাজস্ব হিসেবে ১০ লাখ টাকা অর্থ পরিশোধের লিখিত অঙ্গীকার করেছে ফেডারেশন। এই অঙ্গীকারের আশ্বাস নিয়ে অভিযান শেষ করে ডিএসসিসি।
বিষয়টি এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
সোমবার দুপুর হতে বাফুফে ভবনে শুরু হওয়া অভিযান বিকাল ৫টা অবধি চলমান থাকে। রাজস্ব আদায়ে পরিচালিত এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান।অভিযানের শুরু হতে দেনদরবার করতে থাকা বাফুফে কর্তারা দক্ষিণ সিটির ভ্রাম্যমাণ আদালতের অনড় মনোভাবে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে লিখিত এই প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় সেখানে উপস্থিত বাফুফে কর্তারা জানান, ‘বাফুফের ব্যয়িত সকল অর্থের দস্তখতকারী (সিগনেটরি) ৩ জন। এর মধ্যে একজন দস্তখতকারী ঢাকার বাইরে অবস্থান করায় এই মুহূর্তে বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
‘আমরা বৃহস্পতিবার ১০ লাখ পরিশোধ করব ও বাকি টাকা মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কিস্তি হিসেবে পরিশোধের সুযোগ চাইব।’২০০৫-০৬ সালের তৃতীয় কিস্তি হতে ২০২১-২২ সালের চতুর্থ কিস্তি পর্যন্ত বাফুফের কাছে গৃহকর বাবদ দক্ষিণ সিটির ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার বেশি পাওনা রয়েছে বলে জানায় ডিএসসিসি।অভিযান প্রসঙ্গে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘করপোরশেনের বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে পরিচালিত অভিযানের অংশ হিসেবে আমরা বাফুফে ভবনে অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানকালে বাফুফে তাৎক্ষণিকভাবে সমুদয় বকেয়া পরিশোধ না করলেও আংশিক অর্থ এই সপ্তাহে পরিশোধ করা হবে মর্মে লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগের মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে কল ধরেননি তিনি।