বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ক্যাটাগরি-১ এর ঢাকা বিভাগ থেকে জয়ী হয়েছেন নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও তানভীর টিটু।
এই জয়ের ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো বোর্ডের পরিচালকের পদে বসতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের অধিনায়ক।
পরিচালক হিসেবে আগের দুই মেয়াদে ক্রিকেটের উন্নয়ন করায় এইবার নির্বাচনে নিজের জয় নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না সাবেক এই ক্রিকেটারের।ভোট গ্রহণ শেষে সংবাদসম্মেলনে এমনটাই জানান দুর্জয়। তিনি বলেন, ‘দুশ্চিন্তা আগেও ছিল না। কারণ কাউন্সিলরদের সঙ্গে আমার যোগাযোগের সময় আমি যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি, তাতে আমি দুশ্চিন্তা কখনো করিনি। যে দুজন নাম প্রত্যাহার করেছেন, তারাও কিন্তু সময়সীমার পর নাম সরিয়েছেন। সেটা কিন্তু নাম প্রত্যাহার হিসেবে কাউন্ট করা হয় না। যে কয়েকজন নতুন কাউন্সিলর হয়েছেন তারা ক্রীড়াঙ্গনেরই লোক। তারা জানেন আমার সম্পর্কে। তাই আমি প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’
অতীতে বিসিবির বেশ কয়েকটি কমিটিতে সক্রিয় ছিলেন দুর্জয়। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে সামনের মেয়াদে প্রচলিত ধারার বাইরে এসে কাজ করে ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে চান তিনি। সেই সঙ্গে উন্নতি ঘটাতে চান ঘরোয়া ক্রিকেটেরও।
দুর্জয় বলেন, ‘আমি গত বছরগুলোতে টুর্নামেন্ট কমিটিতে কাজ করেছি, ডেভলপমেন্টে কাজ করেছি, অপারেশন্সে কাজ করেছি, হাই পারফরম্যান্সে কাজ করেছি, অভিজ্ঞতা মনে হয় খারাপ হয়নি। তারপরও যিনি বিসিবি প্রধান হবেন তিনি ভালো বুঝবেন। আমরা ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে ভালো করছি। এখন আমাদের টেস্টে ভালো করার সময়।
‘সেটার জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট, প্রথম শ্রেণির কাঠামো, মাঠ, উইকেট – এসব নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। গতানুগতিক কাজ তো করছি অনেক বছর যাবত। এগোতে হলে অতিরিক্ত অনেক কিছু করতে হবে। এবার আমরা সেটা করব।’
বোর্ডের নতুন পরিচালনা পর্ষদে নির্বাচিত ২৫ জনের ভেতরত ১৯ জন পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। পাশাপাশি পরিচালক পদে আসছেন নতুন ৬ মুখ।
সবার ভোটে নির্বাচিত হবেন নতুন সভাপতি। ধারণা করা হচ্ছে সবশেষ সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনেরই নতুন মেয়াদে আবার সভাপতি হতে যাচ্ছেন।