বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাধারণ নির্বাচন। প্রথমবারের মতো বোর্ডের নির্বাচন হচ্ছে কোনো প্যানেল ছাড়াই। যার ফলে পরিচালক পদে নির্বাচন করতে দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েকজন নতুন মুখকে।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদসম্মেলন করেন বোর্ডের দুই বারের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সংবাদসম্মেলনে তিনি জানান বোর্ড পরিচালক পদে নির্বাচন করা নতুন মুখদের প্রতি তিনি বেশ আশাবাদী। একই সঙ্গে নতুন মুখ আসায় তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত।
পাপন বলেন, ‘আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, নতুন নতুন মানুষ আসা দরকার। দেশের সকল ক্রীড়া বোর্ডে কিছু মানুষ আছেন সবসময় কাজ করেন। কিছু মানুষকে কাজই করতে দেখা যায় না। বেশি কাজের মানুষ যেন আসার সুযোগ পায় সে জন্য একটা ব্যবস্থা চালু করেছি আমরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভালো ভালো মানুষ আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত যেই পরিমাণ আসার কথা ছিল সেই পরিমাণ কিন্তু আসেনি। তবে ভালো দিকও আছে, নতুন মুখ এসেছে, ক্রিকেটের সাথে সম্পৃক্ত তারা, তাদের সংগঠন আছে। কাউন্সিলররা যাকে ভালো মনে করবেন তাকে ভোট দেবেন। আমি আপনাদেরকে একটা কথাই বলবো, আমি খুব খুশি। আমার কোনো সমস্যা নেই।’
বিসিবির ইতিহাসে এই প্রথম নির্বাচনে থাকছে না কোনো প্যানেল। কেন হুট করেই পরিবর্তন আনা হল নির্বাচনি ব্যবস্থায়? জবাবে পাপন জানালেন, পরিচালনা পর্ষদের সাংঘর্ষিক মনোভাব দূর করতে এবং ক্রিকেটের উন্নয়ন করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্যানেল থাকাটা দোষের কিছু না। তবে সমস্যাটা হয় একটা ভালো সম্পর্ক নির্বাচনের কারণে অনেকের সম্পর্ক কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়। এবং অন্য প্যানেল থেকে কেউ আসলে মেজরিটি যে প্যানেলে থাকে তারা সবসময় তাদেরকে প্রতিপক্ষ মনে করে।
‘প্যানেল ছাড়া করলে যে সুবিধাটা হচ্ছে, ক্রিকেট বোর্ডকে যারা কন্ট্রিবিউট করতে পারবে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে অবদান রাখতে পারবে, এ ধরণের লোকজন আসার সম্ভাবনা বেশি। বোর্ডে আসার পর যে সহযোগিতা ও সমর্থন বেশি হবে সেই জন্যই এবারের প্যানেল ছাড়া নির্বাচন করা।’
এসময় তিনি নির্বাচনে নবাগতদের নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে বোর্ডের কল্যাণে সব কিছু ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারা কাজ করে যাবেন।
পাপন বলেন, ‘নতুন বেশকিছু মুখ আছে আমার মনে হয়। তারাও অনেককিছু অবদান রাখতে পারবে বোর্ডে। আপনাদের কাছে একটা অনুরোধই করব, কে কোন দল, কোন গ্রুপ সব ভুলে গিয়ে, কে কার মানুষ সব ভুলে গিয়ে আপনারা যাকে মনে করবেন সঠিক ব্যক্তি, ক্রিকেটের জন্য ভালো, তাকেই ভোট দেবেন।’
বিসিবি পরিচালকের ২৩টি পদের বিপরীতে লড়বেন ৩০ জন প্রার্থী। এর ভেতর দুজন পরিচালক বিসিবিতে সরাসরি আসবেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে। বাকিরা আসবেন কাউন্সিলরদের ভোটে।
মোট ২৫ জন পরিচালক নিয়ে গঠিত হবে বিসিবির নতুন কমিটি। যারা আগামী চার বছর দেশের ক্রিকেটের দেখভাল করবেন।