‘প্যান্ডোরা পেপার্স’ নাম দেয়া অফশোর কোম্পানির এসব নথিতে প্রায় ৩৫ জন বর্তমান ও সাবেক নেতা এবং তিন শর বেশি সরকারি কর্মকর্তার নাম পাওয়া গেছে।
এতে রয়েছে ভারতের ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের নামও। তবে সর্বকালের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যানের আইনজীবী বলেছেন তার লেনদেন সবই বৈধ উপায়ে হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ‘টেন্ডুলকারের আইনজীবী বলেছেন যে, তার বিনিয়োগ বৈধ ও কর কর্তৃপক্ষকে সেগুলো সম্বন্ধে অবহিত করা হয়েছে।’
সাত বছরে ফিনসেন ফাইলস, প্যারাডাইজ পেপার্স, পানামা পেপার্স ও লাক্সলিকসের মতো আর্থিক লেনদেন বিষয়ক নথি ফাঁসের পর প্যান্ডোরা পেপার্স বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আর্থিক কেলেঙ্কারি প্রকাশ করে রোববার রাতে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কনসোরটিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) গোপন নথিগুলো পরীক্ষা করে। সাড়ে ছয় শর বেশি সাংবাদিক এতে অংশ নেন।
বিবিসি প্যানোরামা, গার্ডিয়ানসহ আরও কয়েকটি সংবাদমাধ্যম প্রায় ১২ মিলিয়ন নথি ও ১৪টি আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের ফাইল দেখার সুযোগ পায়।
ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, পানামা, বেলিজ, সাইপ্রাস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে।
দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও বৈশ্বিক কর না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
যুক্তরাজ্যে গোপনে সম্পদ কিনতে আলোচিত ও সম্পদশালী ব্যক্তিরা কীভাবে বৈধ উপায়ে প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন, এটাই প্যান্ডোরা পেপার্সের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক।
ওই সব ক্রয়ের পেছনে ৯৫ হাজার অফশোর প্রতিষ্ঠানের মালিকের নামও প্রকাশ করে প্যান্ডোরা পেপার্স।