২০০৩ সালে সাফ শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এর পরের আসরে অর্থ্যাৎ ২০০৫ সালে বাংলাদেশ ভারতের কাছে ২-০ গোলে হেরে শিরোপার স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়।
এরপর কেটে গেছে ১৬টি বছর। এখনও সেই ২০০৩ সালের শিরোপাটি বাংলাদেশের প্রথম এবং শেষ শিরোপা হয়ে আছে। এমনকি এই ১৬ বছরে সাফের ৬টি আসরের কোনোটিতে ফাইনালের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ।
১ অক্টোবর থেকে মালদ্বীপে শুরু হতে যাচ্ছে সাফের ত্রয়োদশ আসর। আসরের জন্য ২৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
সাফকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চলছে জাতীয় দলের ফুটবলারদের অনুশীলন। অনুশীলনের সময় হুট করে শুক্রবার মাঠে চলে আসেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন।
লম্বা সময় সাফে খুব একটা ভালো সময় না গেলেও সামনের আসরে জাতীয় দলকে নিয়ে ভালো করতে বেশ আশাবাদী দেশের ফুটবলের সভাপতি। দলের পাশাপাশি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কোচ অস্কার ব্রুজনের ওপরও রয়েছে তার অগাধ আস্থা।
সালাহউদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আশাবাদী দলটা এবার ভালো করবে। অনেক যুদ্ধ-টুদ্ধ করে এই কোচকে এনেছি। দ্বিতীয় কথা, স্বপ্ন তো স্বপ্নই। যখন হবে, তখন তো হবেই। আগে কি হয়েছিল সেটা জানি না। ফল যা হওয়ার তাই হবে। আমি মনে করি, কোচ বদল করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই পরিবর্তন দরকার ছিল।’
ফুটবলাররা সাফে ভালো পারফরম্যান্স করলে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন বাফুফে বস। যদিও কী দেবেন সেটা জানাননি। বড় কিছু অপেক্ষা করছে জামাল ভুঁইয়াদের জন্য, সেটার ইঙ্গিত দিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য অনেক বড় কিছু চিন্তা করেছি। কিন্তু সেটা আমি ঘোষণা করব না। কারণ, যতবার পুরস্কার ঘোষণা করেছি ততবার রেজাল্ট পাইনি। সেটা আমার এখানে (হৃদয়ে) আছে। বিষয়টি মনের মধ্যে রেখেছি। ওরা যদি চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলে যা পাবে তা আশাও করতে পারবে না, স্বপ্নেও ভাবতে পারবে না।’
সাফের জন্য বাংলাদেশ দল:
গোলকিপার: আশরাফুল রানা, আনিসুর রহমান জিকো, শহীদুল আলম সোহেল।
ডিফেন্ডার: বিশ্বনাথ ঘোষ, তারিক কাজী, তপু বর্মন, রহমত মিয়া, রিয়াদুল হাসান, ইয়াসিন আরাফাত, রেজাউল করিম, মেহেদি হাসান, আতিকুজ্জামান, টুটুল হোসেন।
মিডফিল্ডার: জামাল ভূঁইয়া, সোহেল রানা, সাদ উদ্দিন, রাকিব হোসেন, আতিকুর রহমান ফাহাদ ও মানিক মোল্লা।
ফরোয়ার্ড: বিপলু আহমেদ, মাহবুবুর রহমান সুফিল, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সুমন রেজা, মতিন মিয়া, জুয়েল রানা ও এলিটা কিংসলে।