হাঁটুর চোটের কারণে জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষ না করেই দেশে ফিরে আসেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক এরপর ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলেননি। নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে।তবে এই মাসেই চোট থেকে সেরে উঠে ফিরে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ছাড়পত্র নিয়ে খেলতে যাচ্ছেন নেপালের এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল)।পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষে তামিম মাঠে ফেরার মতো অবস্থায় রয়েছেন বলে জানালেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী।নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘তামিম মাসখানেক ধরে এই পুনর্বাসন প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে। জাতীয় দলের ফিজিও ও ট্রেইনারের অধীনে জটিল পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ করেছে।
‘তামিমের যে পরিকল্পনা ছিল তাতে এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগ খেলা পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার একটা অংশ। খেলার মধ্যে বোঝা যাবে সে স্কিল ও অন্যান্য বিষয় কীভাবে সামলাচ্ছে। এই খেলার ফিডব্যাকের ওপর নির্ভর করে আমরা ওর পরবর্তী চিকিৎসা ঠিক করব।’বিশ্বকাপের পরপরই বাংলাদেশে আসছে পাকিস্তান দল। এরপর বাংলাদেশ দল যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড সফরে। তামিম দুই সিরিজে খেলা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও, দেবাশীষ নিশ্চিত নন এই অভিজ্ঞ ওপেনারের খেলা নিয়ে।তিনি বলেন, ‘তামিম বেশ আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে। স্কিল ট্রেনিংগুলো করতে পারছে। ও শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করছে। কিন্তু খেলার ব্যাপারটা অন্যরকম। যতক্ষণ প্রকৃত খেলার মধ্যে না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ঠিকমতো নিজেকে বিচার করতে পারবে না।’শুধু তামিম ইকবালই নন, চোট থেকে সেরে ওঠার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন বাংলাদেশের দুই পেইসার আল আমিন হোসেন ও হাসান মাহমুদও। আল আমিন সামনের জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) খেলতে পারবেন বলে আশাবাদী দেবাশীষ।বলেন, ‘আল আমিন হোসেনের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। ও প্রায় ১০০ ভাগ এফোর্ট দিয়ে বোলিং করছে। এখন পর্যন্ত ওর অগ্রগতি যথেষ্ট সন্তোষজনক। আগামী জাতীয় ক্রিকেট লিগে ওর খেলার সম্ভাবনা আছে।’আর হাসান মাহমুদের অগ্রগতি ভালো হলেও তার বোলিং অ্যাকশনের জন্য প্রয়োজন বায়োমেকানিক্যাল পদ্ধতির যাচাই। যে কারণে তাকে দেশের বাইরে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বিসিবি।দেবাশীষ বলেন, ‘হাসান মাহমুদের একটা বায়োমেকানিক্যাল বোলিং অ্যাসেসমেন্ট দরকার। যেটা দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের এখানে সম্ভব না। চেষ্টা করছি বিদেশে পাঠিয়ে ওর পূর্ণাঙ্গ অ্যাসেসমেন্ট করার। আশা করছি আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে ওকে দেশের বাইরে পাঠাতে পারব।’