বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রিয়ালের গোলবন্যার দিনে পিএসজির নাটকীয় জয়

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১০:১৮

মায়োর্কোকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। আর ফ্রেঞ্চ লিগে শেষ মুহূর্তের হাকিমির কল্যাণে মেসের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)।

লা লিগায় বুধবারের রাতটাকে হয়তো গোল উৎসবের জন্য বেছে নিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। মায়োর্কোকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। আর ফ্রেঞ্চ লিগের শেষ মুহূর্তে হাকিমির কল্যাণে মেসের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)।

লিগে শেষ দুই ম্যাচে জয় কষ্টার্জিত হলেও বুধবার রাতে ঘরের মাঠে রিয়াল ছিল বেশ আক্রমণাত্মক। যার কারণে তাদের কাছে পাত্তাই পায়নি টেবিলের ১০ নম্বরে থাকা মায়োর্কো।

ম্যাচের শুরু থেকেই সফরকারীদের চেপে ধরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের তিন মিনিটেই দলকে লিড এনে দিয়েছিলেন কারিম বেনজেমা।

২৪ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার মার্কো আসেনসিও। তার ঠিক এক মিনিট পরই সফরকারীরা গোল শোধ করে লি কং ইনের কল্যাণে।

এরপরই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় কার্লো আনচেলেত্তির শিষ্যরা। ২৯ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করার মধ্য দিয়ে ব্যবধানটা ৩-১-এ নিয়ে যান আসানসিও।

বিরতি থেকে ফিরে ৫৫ মিনিটে বেনজেমার পাসে জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়ে হ্যাটট্রিকের কোটা পূর্ণ করেন আসেনসিও। এরপর ৭৮ মিনিটের মাথায় দলের হয়ে পঞ্চমবারের মতো বল জালে জড়ান বেনজেমা। ৮৪ মিনিটে মায়োর্কোর কফিনের শেষ পেরেক ঠুকে দেন ফ্রান্সিসকো। এই সুবাদে ৬-১ ব্যবধানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।

এদিন ফরাসি লিগে মেসের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোলে জয় পেয়েছে পিএসজি। চোটের কারণে মেসি ছিলেন না এই ম্যাচে। সেই সঙ্গে ম্যাচজুড়ে নিজেদের ছায়া হয়েই থাকতে হয়েছে এমবাপে, নেইমার, ইকার্দিকে। তারপরও ড্র হতে যাওয়া ম্যাচে জয় বাগিয়ে মাঠ ছেড়েছে ফ্রেঞ্চ জায়ান্টরা।

পিএসজির এই জয়ের মূল নায়ক হাকিমি। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই দলকে লিড এনে দেন স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার।

নেইমারের দেয়া পাসে মাউরো ইকার্দি গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও গোললাইন থেকে দুর্দান্তভাবে বলকে ফিরিয়ে দেন মেসের ডিফেন্ডার মাথিউ উদল। প্রথম সুযোগ হাতছাড়া হলেও ফিরতি বলে সুযোগ পেয়ে সেটি কাজে লাগান আশরাফ হাকিমি। সেই শটও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন স্বাগতিকদের এক ডিফেন্ডার। সেটি বড্ড দেরি করে; গোললাইন অতিক্রমের পর।

২৪ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল মেস। কিন্তু সেনেগালের মিডফিন্ডার এনদিয়াগা ইয়াদের ওভারহেড কিকটি গোলপোস্টের সামান্য বাইর দিয়ে যাওয়াতে সেই সুযোগ হাতছাড়া হয় মেসের।

তবে ৩৯ মিনিটে ঠিকই সমতায় ফেরে মেস। কর্নার থেকে আসা বলে জোরাল হেডে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন বুবাকার কুয়াইত।

বিরতির পর আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় পিএসজি, কিন্তু মিলছিল না গোলের দেখা। একটা সময় ম্যাচের সমাপ্তি ড্রতেই নিষ্পত্তি হওয়ার মতো অবস্থায় চলে গিয়েছিল।

তবে ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে যায় অতিরিক্ত সময়ে এসে। ৯১তম মিনিটে দ্বিতীয়বারের মতো হলুদ কার্ড খেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মেসের ডিফেন্ডার ডিলান ব্রনকে। মুহূর্তেই ১০ জনের দল হয়ে যায় স্বাগতিকরা। সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে প্রতিবাদ করায় লাল কার্ড দেখতে হয় কোচ ফ্রেডরিক আন্তিতোনেতিওকে।

অতিরিক্ত সময়ের পঞ্চম মিনিটে ত্রাতা হয়ে আসেন আশরাফ হাকিমি। নেইমারের পাসে দুর্দান্ত এক গোল করেন হাকিমি। আর তাতেই নিশ্চিত হয় দলের জয়।

এই জয়ের মাধ্যমে লিগে টানা সাতটি জয় পেল পিএসজি। সাত ম্যাচের সবই জিতে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ফ্রেঞ্চ জায়ান্টরা। আর মেসের অবস্থান টেবিলের একদম তলানিতে।

এ বিভাগের আরো খবর