জালাল চৌধুরীর মরদেহের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ভলিবল ও হ্যান্ডবল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি ও বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তার ক্রিকেটে হাতে খড়ি, এখানেই তার কোচিং ক্যারিয়ারে উত্থানের গল্প আর এই স্টেডিয়ামের প্রেস বক্সে তার সাংবাদিকতার কলম ধরা। মঙ্গলবার চিরপরিচিত সবুজ ঘাসে নিথর দেহে শেষবারের মতো আসলেন সাবেক ক্রিকেটার কোচ ও প্রখ্যাত ক্রীড়া লেখক জালাল আহমেদ চৌধুরী।
তার জানাজায় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানান শতাধিক সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও বন্ধু-পরিজন।
জালাল চৌধুরীর মরদেহের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ভলিবল ও হ্যান্ডবল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি ও বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন।
বন্ধুর বিদায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন দেশের ক্রিকেটের খ্যাতিমান কোচ ওসমান খান। বলেন, ‘ও চলে গেল। আমাকে একা রেখে। আমি একা হয়ে গেলাম। ক্রিকেটের জন্য যা করে গেছেন তার ঋণ শোধ হওয়ার নয়।’
বহুদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন জালাল চৌধুরী। অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় তাকে। পরে ফুসফুসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। মঙ্গলবার সকালে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন ৭৪ বছর বয়সী জালাল আহমেদ।
সাবেক জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক গাজী আশরাফ লিপুর কণ্ঠেও ঝরে পড়ে গভীর শ্রদ্ধা। লিপু বলেন, ‘আমরা যারা ৮০-৯০ বা ২০০০ দশকের ক্রিকেটার ছিলাম, জালাল ভাইয়ের অভাব তাদের করুণভাবে নাড়া দেবে। রিয়াদ থেকে শুরু অনেকেই তার অধীনে কোচিং করেছে।
‘৯৭ সালের আইসিসি ট্রফিটাকে যদি আমরা মাইলফলক হিসেবে ধরি, তাহলে সেখানে তিনি, ওসমান ভাই নেপথ্যে থেকে কাজ করে গেছেন। আমরা গর্ডন গ্রিনিজের প্রশংসা করি কিন্তু তাদের অবদানও অনেক ছিল। অত্যন্ত মেধাবী কোচ ছিলেন। অনেক জ্ঞান রাখতেন। তিনি যা-ই করতেন অনেক যত্ন নিয়ে করতেন।’
জালাল চৌধুরীর লেখায় ছিল অন্য এক মাত্রা। তিনি শিক্ষকের শিক্ষক ছিলেন মন্তব্য করে কথাগুলো বলেছেন আরেক সাংবাদিক মোস্তফা মামুন।
তিনি বলেন, ‘যখন তিনি ছিলেন, তখন তার গুরুত্ব আমরা বুঝতে পারিনি। তার ভাষার যে শক্তি, মেদহীনতা, শব্দের প্রয়োগ, গভীর চিন্তার প্রকাশ। সবকিছু মিলিয়ে তিনি অনন্য ছিলেন। শিক্ষকের শিক্ষক ছিলেন। তিনি নেই, তবে তিনি বেঁচে থাকবেন তার সতীর্থ ও শিষ্যদের লেখনীতে।’
জালাল চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।