বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে বোর্ড সভাপতি ঘোষণা দিয়েছিলেন বিশ্বকাপের পর দুটি জাতীয় দল বানিয়ে একই সঙ্গে দুটি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। বিসিবির পরিকল্পনায় ছিল পাইপলাইনে থাকা খেলোয়াড় ও নিয়মিত খেলোয়াড়দের নিয়ে দুটি ভিন্ন ফরম্যাটে ভিন্ন দল গঠন করে একই সময়ে দুই দেশের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে টাইগাররা।
সেই হিসেবে ধারণা করা হচ্ছিল বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড সিরিজে ভিন্ন দুটি দল গঠন করে সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্বকাপের এক মাস আগে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। দুটি জাতীয় দল মাঠে থাকার ঘটনাটা এখনই ঘটছে না।
রোববার সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।
আকরাম বলেন, 'বিশ্বকাপের পরপরই পাকিস্তান আসবে, দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে। এরপরই কিন্তু দল নিউজিল্যান্ডে চলে যাবে। আগে মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা হচ্ছিল কিন্তু এখন আর হচ্ছে না।’
পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের সিরিজ দুটির সময়কাল পরস্পর সাংঘর্ষিক না হওয়ায় দুই দল গঠনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিসিবি।
তিনি আরও বলেন, ‘দুইটা দল করার কথা উঠেছিল পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড সিরিজ সাংঘর্ষিক হওয়ায়। সেই জিনিসটা এখন আর হচ্ছে না তাই দুটি দলের চিন্তাধারাও করতে হচ্ছে না। আমরা চিন্তাধারা রেখেছি। অনেক খেলোয়াড় উঠে আসছে, ভালোও করছে। এই সুযোগ থাকলে ভালো। তবে এই পরিস্থিতিতে দুটি দল হচ্ছে না।’
ক্রিকেটের ইতিহাসে একই সময়ে দুই দলের বিপক্ষে খেলার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এই প্রথা শুরু হয়েছে ইংল্যান্ডের হাত ধরে।
১৯৩০ সালে একই সময়ে ইংলিশরা দুই ভিন্ন দল নিয়ে টেস্ট খেলে নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এরপর লম্বা বিরতির পর একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি করে ভারত।১৯৯৮ সালে তারা দুটি জাতীয় দল প্রস্তুত করে এক দলকে পাঠায় কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নিতে। আরেক দলকে পাঠায় কানাডার বিপক্ষে সাহারা কাপে খেলতে।
সম্প্রতি একই সময়ে দুই সিরিজ আয়োজন করার কারণে বাধ্য হয়েই ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কায় ভিন্ন দুই জাতীয় দল পাঠাতে হয় ভারতকে।