হার্টে অস্ত্রোপচারের পর অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় নিজ বাড়িতে পুর্নবাসন প্রক্রিয়ার মধে্য দিয়ে যাচ্ছেন ক্রিস কেয়ার্নস। নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই তারকা অলরাউন্ডার এক ভিডিও বার্তায় জানান তিনি সেরে উঠছেন। তার জীবন রক্ষার জন্য চিকিৎসকদের ধন্যবাদ দেন তিনি।
রোববার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ভিডিওতে কেয়ার্নস বলেন, ‘ছয় সপ্তাহ আগে আমার হার্টের আর্টারি ছিঁড়ে যায়। এরপর বেশ কয়েকটা অস্ত্রোপচার ও গ্রাফটিং করা হয়েছে। সৌভাগ্যজনকভাবে বিশেষজ্ঞরা আমার হার্টকে রক্ষা করতে পেরেছেন।’
হার্টের সমস্যা সমাধানে কেয়ার্নসের অস্ত্রোপচারের পর তার মেরুদণ্ডে স্ট্রোক হয় যার কারণে তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে পড়েন। এটিকে তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার সবচেয়ে কষ্টকর অংশ হিসেবে অবিহিত করেন কেয়ার্নস।
তিনি বলেন, ‘স্পাইনাল স্ট্রোকের কারণে জটিলতা তৈরি হয়। যার কারণেই আসলে আমার সামনে মূল চ্যালেঞ্জটা দাঁড়িয়েছে। ক্যানবেরা ও সিডনির হাসপাতালে চিকিৎসক দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। চিকিৎসক, সার্জন, নার্স ও বিশেষজ্ঞ সবাইকে ধন্যবাদ। আপনারা আমার জীবন বাঁচিয়েছেন।’
অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী কেয়ার্নস আগস্টের শুরুতে ক্যানবেরায় হার্ট অ্যাটাক করেন। তার হৃৎপিণ্ডের প্রধান ধমনিতে ফাটল ধরা পড়ে। তারপর থেকেই সংকটাপন্ন অবস্থায় ছিলেন এই সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
পরের দুই সপ্তাহে তার বেশ কয়েকবার অস্ত্রোপচার করা হয়।
১৯৮৯ সালে অভিষেকের পর ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে ৬২টি টেস্ট ও ২১৫টি ওয়ানডে খেলেন কেয়ার্নস। ৩,৩২০ টেস্ট রানের সঙ্গে ২১৮টি উইকেট নেন কেয়ার্নস। ওয়ানডেতে রান করেন ৪,৯৫০ আর উইকেট নেন ২০১টি।
২০০০ সালে উইজডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের তালিকায় ছিলেন এই ব্ল্যাক ক্যাপ অলরাউন্ডার। ২০০৪ সালে টেস্ট ম্যাচ থেকে অবসরের পর নিউজিল্যান্ডের অর্ডার অফ মেরিট পান তিনি।
২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের পর তার নাম জড়িয়ে যায় ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে। ইংল্যান্ডের আদালত তাকে ২০১২ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়।