সিরিজ শুরুর ১০ মিনিট আগে শুক্রবার নিউজিল্যান্ড জানিয়ে দেয় নিরাপত্তাজনিত কারণে পাকিস্তানের মাটিতে এই সিরিজ খেলবেন না তারা। হোটেলে অবস্থান করা দলটি শনিবারই ধরবে দেশের উদ্দেশে বিমান।
দুপুরের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের নিতে দেশটি থেকে একটি চার্টার্ড বিমান আসবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান।
শুক্রবার সিরিজের প্রথম ম্যাচকে কেন্দ্র করে স্টেডিয়ামের আশপাশে এবং এলাকাজুড়ে ৪ হাজার পুলিশ সদস্য, কমান্ডো বাহিনী এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন সেনা মোতায়েন করেছিল পাকিস্তান সরকার। তারপরও নিরাপত্তা ইস্যু দেখিয়ে সিরিজ না খেলেই দেশে ফিরে যাচ্ছে লাথাম বাহিনী।
সিরিজ বাতিলের ঘোষণার পরপরই পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন কিউইদের নিরাপত্তা প্রটোকল অফিসারদের সঙ্গে। তবে সেখান থেকে ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
ইতিমধ্যেই সিরিজ বাতিলকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় উঠেছে ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে। ২০০৩ সালের পর এই প্রথম পাকিস্তানে এসেছিল ব্ল্যাক ক্যাপস। ১৮ বছর পর সিরিজ খেলতে এসেও একটি ম্যাচ না খেলেই দেশে ফিরে যাচ্ছে তারা।
নিউজিল্যান্ডের সিরিজ বাতিলের বিষয়টিতে শঙ্কায় পড়ে গেছে ইংল্যান্ডের পাকিস্তান সফরও। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার ভেতর সিরিজের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন তারা।