ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মলনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যানেজার ওলে গানার শোলস্কায়ার বেশ জোর গলাতেই বলেন তার দল এবারের টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলার যোগ্য।
এমন আত্মবিশ্বাস থাকাটাই স্বাভাবিক। নতুন মৌসুমে বিশ্বসেরা ক্রিস্টিয়ানো রোনালডোকে ফিরে পেয়েছে ইউনাইটেড। নিজের প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করে ফর্মের তুঙ্গে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন পাঁচবারের ব্যালন ডর জয়ী।
সুইজারল্যান্ডের অখ্যাত ইয়ং বয়েজ মাঠে নামার আগে নিজেদের ওপর বেশ আস্থা নিয়েই মাঠে নামে ইংলিশ জায়ান্টরা।
সবকিছু পরিকল্পনামতোই চলছিল। ১৩ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেসের দারুণ এক ক্রসে সফরকারীদের এগিয়ে দেন রোনালডো। ইউনাইটেডভক্তদের পার্টির প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় তখনই।
তাদের উচ্ছ্বাসে কিছুটা ভাটা পড়ে ৩৫ মিনিটে। ক্রিস্টোফার মার্টিন পেরেইরাকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ইউনাইটেড ডিফেন্ডার অ্যারন ওয়ান বিসাকা। ১০ জনের দলে পরিণত হয় সফরকারীরা।
প্রথমার্ধে অবশ্য আর বিপদ হয়নি। এক গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
সবকিছু ভেস্তে যায় পরের ৪৫ মিনিটে। অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচ জিতে নেয় ইয়ং বয়েজ। তাদের দুটি গোলই আসে দ্বিতীয়ার্ধে।
মউমি এনগামালেউ ম্যাচে সমতা ফেরান ৬৬ মিনিটে। স্বাগতিক দলের গতির সঙ্গে পেরে উঠছিলেন না পগবা-ফ্রেড-রোনালডোরা।
শোলস্কায়ার ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার জন্য বদল করেন ফ্রেড ও রোনালডোকে। তাদের বদলি হিসেবে অ্যান্থনি মার্সিয়াল ও জেসে লিনগার্ডকে নামান। ডিফেন্স শক্ত করার জন্য নামান রাফায়েল ভারানকে।
তাতেও ঠেকানো সম্ভব হয়নি ইয়ং বয়েজকে। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করেন থিয়েসন সিয়েব্যাচিউ।
লিনগার্ডের ভুল ব্যাকপাস বক্সের মধ্যে পেয়ে যান এই আমেরিকান। ৯৫ মিনিটের তার ওই গোলে মৌসুমে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অঘটনের জন্ম দেয় ইয়ং বয়েজ।
আর অনেক প্রশ্নের জবাব না পেয়ে ইংল্যান্ডে ফেরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। অখ্যাত প্রতিপক্ষের মাঠে এমন পারফরম্যান্সের পর চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে খেলার স্বপ্নটাকে নিয়ে দ্বিতীয়বার হয়তো ভাবতে চাইবেন শোলস্কায়ার।