আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপের ঘটনাবহুল বাছাপর্বে খেলতে গিয়েছিলেন অ্যাস্টন ভিলার অন্যতম সেরা দুই তারকা গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেস ও স্ট্রাইকার এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া। আর্জেন্টিনা এক ম্যাচ আগে তাদের ছেড়ে দিলেও, কোভিড বিধিনিষেধের কারণে তারা এখনও মাঠে নামার অনুমতি পাননি।
আর দুই সেরা তারকাকে ছাড়া চেলসির কাছে একরকম উড়ে গেছে অ্যাস্টন ভিলা। চেলসির মাঠে ৩-০ গোলে হারে বার্মিংহামের ক্লাবটি।
চেলসির মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে ভিলা। রোমেলু লুকাউর ১৫ মিনিটের গোলে লিড নেয় স্বাগতিক দল।
পিছিয়ে পড়লেও খেই হারায়নি অতিথিরা। মার্তিনেসের জায়গায় গোলবার আগলানোর দায়িত্ব পাওয়া জেড স্টিয়ার চেষ্টা করেন দলকে নিরাপদে রাখতে।
প্রথমার্ধে আর গোল হজম করেনি ভিলা। উলটো চেলসির জালে বেশ কয়েকবার হানা দেন ওলিভার ওয়াটকিনস, টাইরন মিংস ও এজরি কোনসা।চেলসির গোলকিপার এডুয়ার্ডো মেন্ডির নৈপূণ্যে সফল হয়নি তাদের প্রচেষ্টা। দ্বিতীয়ার্ধে ভেঙে পড়ে ভিলার সব প্রতিরোধ।
বিরতির পরপরই স্কোরলাইন ২-০ করে দেন মাতেও কোভাচিচ। ভিলার বক্সের বাইরে ভুল করে ব্যাক পাস করেন তাদের ডিফেন্ডার টাইরন মিংস।
বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করতে ভুল করেননি কোভাচিচ। দ্বিতীয় গোল পাওয়ার পর নির্ভার হয়ে খেলতে শুরু করে চেলসি।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা বেশ গুছিয়ে খেলতে শুরু করে নিজ দর্শকের সামনে। তবে গোল পাচ্ছিল না।
সেটি আসে একেবারে শেষ মুহূর্তে। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে ডান প্রান্তে আক্রমণে ওঠেন সিজার আসপিলিকুয়েতা।
লুকাকুর উদ্দেশে বল বাড়ান তিনি। চমৎকার প্রথম টাচে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শট নেন এই বেলজিয়ান।
তার গোলেই নিশ্চিত হয় চেলসির বড় জয়। এই জয়ে চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠে এল চেলসি।
চার ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে ১২ নম্বরে আছে অ্যাস্টন ভিলা।