নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ১০ রানের খরচায় চার উইকেট নিয়ে সফরকারীদের ৯৩ রানে আটকে দেয়ার অন্যতম নায়ক নাসুম আহমেদ। তার স্পিন বিষে টিকতে না পেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ফিন অ্যালেন, রাচিন রাভিন্দ্রা, হেনরি নিকোলস ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে নিজেকে চেনাচ্ছেন নাসুম। অজিদের বিপক্ষে আসে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার ৪/১৯। সেই দুর্দান্ত বোলিং ফিগার তিনি টপকে গেলেন চতুর্থ ম্যাচ। ব্ল্যাকক্যাপদের বিপক্ষে এই ম্যাচে ৪ ওভার বোলিং করে দুইটি মেইডেনের পাশাপাশি ঝুলিতে পুরেছেন চারটি উইকেট। আর এটি তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার।
সতীর্থ মাহেদী হাসানের উৎসাহে ভালো বল করতে পারেন নাসুম। এমনকি দুইজন পরামর্শ করে বোলিং করেন বলেও মন্তব্য করেন এই টাইগার স্পিনারের।
ম্যাচ শেষে নাসুম বলেন, ‘মাহেদী যখন বোলিং করে বা আমি যখন বোলিং করি আমাদের মধ্যে কথা হয় যে তুমি একটা ওভার খারাপ করলে আমি এসে কাভার করে দিব বা আমি খারাপ করলে ও কাভার করবে। কিন্তু মোস্তাফিজ বা সাইফউদ্দিনের সঙ্গে এমন কোন কথা হয় নাই। আমি আর মাহেদী প্রায় সময় এ ব্যাপরে কথা বলি। আমি ওকে উৎসাহ দেই আর ও আমাকে উৎসাহ দেয়।’
ম্যাচ জয়ের অন্যতম নায়ক হলেও নিজেকে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মানতে নারাজ নাসুম। তবে সাফল্যের জন্য কোচ, অধিনায়ক এবং সিনিয়র সতীর্থদের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
নাসুম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আসলে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়েছি কিনা জানি না। তবে দল থেকে অনেক সমর্থন পাচ্ছি। বিশেষ করে অধিনায়ক ও অভিজ্ঞরা আমাকে অনেক সমর্থন করছেন। আর এতে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে। অনুশীলনে কোচ বলেছিলেন এ উইকেটে আরেকটু আস্তে বল করলে ভাল হয়। আজ ওটা ম্যাচে প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছি।'
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন নাসুম। আর ৪ ওভারে ২১ রান দেন মাহেদী। পেয়েছেন একটি উইকেট।