সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ৯৪ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। নির্ধারিত ২০ ওভারে সবগুলো উইকেটের বিনিময়ে ৯৩ রান তুলে থামে সফরকারীদের ইনিংস।
ম্যাচের আগে নিউজিল্যান্ডের কোচ গ্লেন পকনেল জানিয়েছিলেন আগুনের জবাব আগুন দিয়েই দেবে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের আক্রমণে পালটা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে রাখেন নিউজল্যান্ড কোচ।
ম্যাচে সেই আগুনে নিজেরা পুড়লেন ব্ল্যাকক্যাপস। অতিরিক্ত শট ও আগ্রাসী ব্যাট করতে গিয়ে এক শর নিচে অলআউট হয়ে যায় সফরকারী দল। একমাত্র প্রতিরোধ গড়েন উইল ইয়ং।
নাসুম আহমেদ শুরু করেন ধ্বসংযজ্ঞ, শেষ করেন মুস্তাফিজ। দুই জনে চারটি করে মোট আট উইকেট তুলে নেন নিউজিল্যান্ডের। বাকি দুই উইকেটের একটি সাইফউদ্দিনের আরেকটি মাহেদী হাসানের।
৫৯৯ আন্তর্জাতিক উইকেট নিয়ে ম্যাচ শুরু করা সাকিব আল হাসান, টানা দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেট শূন্য থাকেন।
ফিন অ্যালেনের ১২, টম লেইথামের ২১ ও ইয়ংয়ের ৪৬ ছাড়া বাকিরা ছিলেন এক অঙ্কের রানে।
বাংলাদেশি স্পিনার ও মুস্তাফিজের স্লোয়ার ও ভ্যারিয়েশনের কোনো জবাব দিতে পারেনি নিউজিল্যান্ড।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় রকমের হোঁচট খেতে হয় ব্ল্যাক ক্যাপসদের। রানের খাতা খোলার আগেই বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সফরকারী দলের ওপেনার রাচিন রাভিন্দ্রাকে।
দ্রুত উইকেট পতনের কারণে খুব একটা বিচলিত না হয়ে মারকুটে ভূমিকায় অবতীর্ণ হন আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেন। কিন্তু তাকেই বেশিদূর যেতে না দিয়েই মাত্র ১২তেই থামিয়ে দেন নাসুম।
উইল ইয়ংকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার মিশনে নামেন টম লেইথাম। বেরসিকের মতো সেই জুটি ভাঙেন মাহেদী হাসান। বিপজ্জনক লেইথামকে ফিরিয়ে শেষ করেন সফরকারীদের।
লেইথামের বিদায়ের পর একটা ঝড় বয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের শিবিরে। সেই ঝড়ের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন নাসুম। তার জোড়া আঘাতে সেট হওয়ার আগে ফিরতে হয় হেনরি নিকোলস ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে। দুই উইকেটের সুবাদে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগারের দেখা পেয়ে যান বাঁহাতি এই স্পিনার।
নাসুমের সঙ্গে আঘাত হানতে থাকেন মুস্তাফিজুর রহমান ও সাইফউদ্দিন। এই তিন বোলারের বোলিং তোপের সামনে ৫১ রানে তিন উইকেট হারানো দলটি ৯১ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৮টি উইকেট।
উইকেটের একপ্রান্তে আসা যাওয়ার মিছিল চলতে থাকলে অপরপ্রান্ত আগলে ধরে লড়াই চালিয়ে যান ইয়ং। কিন্তু টাইগার বোলারেদের কল্যাণে বেশিক্ষণ প্রতিরোধ গড়ে রাখতে পারেননি তিনি।
১৯.৩ ওভারে ৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। টানা তৃতীয় সিরিজ জিততে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯৪।
নাসুম ১০ রানে ও মুস্তাফিজ ১২ রানে চারটি করে উইকেট নেন।